IQNA

সর্বোচ্চ নেতা;

আমেরিকা নিপাত যাক অর্থাৎ ট্রাম্প, বোল্টন এবং পাম্পিও ধ্বংস হোক

16:59 - February 08, 2019
সংবাদ: 2607895
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী সেদেশের বিমান বাহিনীর কর্মকর্তাদের সাথে এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, যতক্ষণ পর্যন্ত আমেরিকার শয়তানি ও সহিংসতামূলক কর্মকাণ্ড অব্যাহত থাকবে, ততক্ষণ পর্যন্ত ইরানী জনগণের মুখে “আমেরিকা নিপাত যাক” শ্লোগান অব্যাহত থাকবে।

বার্তা সংস্থা ইকনা: ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী বলেছেন, শয়তানি ও সহিংসতার মূর্ত প্রতীক হচ্ছে আমেরিকা যারা অন্য দেশগুলোর সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন করে।
তিনি বলেন, আমেরিকা সারা বিশ্বের জন্য সংকট সৃষ্টিকারী শক্তি এবং যুদ্ধংদেহী নীতি অনুসরণ করে। রাজধানী তেহরানে আজ (শুক্রবার) সর্বোচ্চ নেতার সঙ্গে ইরানের বিমান বাহিনীর একদল কর্মকর্তা দেখা করতে গেলে তাদের উদ্দেশে দেয়া বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
যুদ্ধবাদী, শয়তানি ও সহিংসতার প্রতিমূর্তি অবিহিত করে বলেছেন: আমেরিকান কর্মকর্তারা ইরানী জনগণের অবমাননা করে দাবী করে, তারা কেন “আমেরিকা নিপাত যাক” শ্লোগান বলে। আমেরিকান কর্মকর্তাদের স্পষ্টভাবে বোঝানোর জন্য বলছি, আমেরিকান জনগণের বিরুদ্ধে আমাদের কোন অভিযোগ নেই। “আমেরিকা নিপাত যাক” শ্লোগানের অর্থ হচ্ছে মার্কিন শাসক ধ্বংস হোক। আমেরিকা নিপাত যাক অর্থাৎ ট্রাম্প, পম্পেও (মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মনোনীত গোয়েন্দা প্রধান) এবং বোল্টনদের (মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা) মতো লোকজনের ধ্বংস কামনা করা।
সর্বোচ্চ নেতা আরো বলেন, আমেরিকা সবসময় নিজের নিরাপত্তা ঠিক রাখার জন্য অন্যের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন করেছে। তিনি বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত আমেরিকা শয়তানী নীতি অব্যাহত রাখবে ততক্ষণ পর্যন্ত ইরানের জনগণ আমেরিকার ধ্বংস কামনা করে স্লোগান দেবে।
ইরানের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে ইউরোপের দেশগুলোর অভিযোগ নাকচ করে সর্বোচ্চ নেতা বলেন, তারা এমন কোনো অবস্থানে নেই যে, ইরানের সমালোচনা করবে। প্যারিসের রাস্তায় বিক্ষোভকারীদের ওপর হামলা করেছে সরকারি বাহিনী, তারাই আবার নির্লজ্জভাবে ইরানকে মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য অভিযুক্ত করে। তারা কী জানে মানবাধিকার কী? তারা এখন কিংবা অতীতে- কখনো মানবাধিকার কাকে বলে তা জানতো না। iqna

 

 

captcha