বার্তা সংস্থা ইকনা: সর্বোচ্চ নেতা আরও বলেন, পুলিশ বাহিনীকে অবশ্যই কঠোরভাবে চোরাচালান মোকাবেলা করতে হবে এবং যারা সাইবার জগতকে অনিরাপদ করে তুলছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। আজ (রোববার) পুলিশ বাহিনীর একদল কমান্ডার ও কর্মকর্তা সর্বোচ্চ নেতার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এই দিকনির্দেশনা দেন।
আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী বলেন, মানুষের দৈনন্দিন জীবন ব্যবস্থায় ইন্টারনেট তথা ভার্চুয়াল জগত ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে। এর যেমন ভালো দিক রয়েছে তেমনি বড় বিপদও রয়েছে। সাইবার জগত অনিরাপদ হলে তা মানুষের জন্য ক্ষতি বয়ে আনে। এ কারণে নিরাপত্তা বাহিনীর দায়িত্ব হচ্ছে সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। সর্বোচ্চ নেতা নিরাপত্তাকে অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য অপরিহার্য হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, জাতীয় উৎপাদন বাড়ানোর ক্ষেত্রে চোরাচালান হচ্ছে একটি বড় বাধা। নিরাপত্তা বাহিনীর বিভিন্ন দায়িত্বের একটি হচ্ছে চোরাচালান বন্ধ করা।
সর্বোচ্চ নেতা বলেন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব হলো অস্ত্র কেনাবেচা ঠেকানো। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো কোনো কোনো দেশে অস্ত্র উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলোর স্বার্থে অস্ত্র কেনাবেচাকে বৈধতা দেওয়া হয়েছে, যদিও তা ওই সব দেশের মানুষের জন্য সমস্যার সৃষ্টি করছে। কিন্তু আমাদের দেশে এ ধরণের সমস্যা নেই। ইরানে অস্ত্র কেনাবেচা নিষিদ্ধ। অস্ত্র কেনাবেচা কঠোরভাবে মোকাবেলা করতে হবে।
এ সময় তিনি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে দৃঢ়তা প্রদর্শনের পাশাপাশি দয়া ও অনুগ্রহের নীতি অনুসরণ করতে বলেন। সর্বোচ্চ নেতার মতে- দৃঢ়তা ও অনুগ্রহ হচ্ছে পরস্পরের পরিপূরক। iqna