চিঠিতে গত দুই বছর ধরে পাশ্চাত্যের সঙ্গে পরমাণু আলোচনায় সরকারকে সমর্থন ও মূল্যবান দিক-নির্দেশনা দেয়ায় সর্বোচ্চ নেতার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রেসিডেন্ট রুহানি। তিনি বলেন, এই সমঝোতায় ইরানের শান্তিপূর্ণ পরমাণু প্রযুক্তি ব্যবহারের অধিকার বহাল রয়েছে এবং আন্তর্জাতিক সমাজ তেহরানের পরমাণু কর্মসূচিকে স্বীকৃতি দিয়েছে।
ড. রুহানি তার চিঠিতে বলেন, পরমাণু কর্মসূচির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর অংশ হচ্ছে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করা। পাশ্চাত্যের সঙ্গে ইরানের পরমাণু সমঝোতায় ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করার এই অধিকার বহাল রাখা হয়েছে। এ ছাড়া, আরাক পরমাণু স্থাপনাকে একটি আধুনিক গবেষণা চুল্লিতে রূপান্তর করা হবে।
শনিবার রাতে পাশ্চাত্যের সঙ্গে ইরানের স্বাক্ষরিত পরমাণু সমঝোতা বাস্তবায়িত হয় এবং তেহরানের ওপর থেকে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়। গত বছরের জুলাই মাসে স্বাক্ষরিত চুক্তি অনুযায়ী তেহরানের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার পর আজ চিঠি লিখে বিষয়টি সর্বোচ্চ নেতাকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানালেন প্রেসিডেন্ট রুহানি।