বার্তা সংস্থা ইকনা: এতে বলা হয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারণায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘জ্বালাময়ী বক্তব্য’ দেশটিতে মুসলিম বিদ্বেষী গোষ্ঠী সৃষ্টিতে ইন্ধন যুগিয়েছে। এছাড়া, গত জুনে আমেরিকার অরল্যান্ডোর নাইট ক্লাবে হামলার ঘটনাও এতে উসকানি দিয়েছে।
প্রতিবেদন তৈরিতে নেতৃত্ব দিয়েছেন মার্ক পোটোক। প্রতিবেদনে তিনি বলেন- স্টিভ ব্যানন, স্টিভেন মিলার এবং কেলিয়্যান কনওয়ের মতো হোয়াইট হাউজের শীর্ষস্থানীয় অনেকে ‘ভয়াবহ মুসলমান বিরোধী ভাবধারায়’ বিশ্বাসী।
তিনি আরো বলেন, মাইকেল ফ্লিন বিদায় নেয়ার মধ্যদিয়ে আমেরিকার মুসলমানদের বিরুদ্ধে চলমান মারাত্মক অভিযান কমবে বলে মনে করার কোনো কারণে নেই। কট্টর মুসলমান-বিরোধী হিসেবে পরিচিত ফ্লিন মুসলিম-বিরোধী নানা বক্তব্য দিয়েছেন। এক টুইটার বার্তায় তিনি দাবি করেছিলেন, মুসলমানদের বিরুদ্ধে আতঙ্ক খুবই যুক্তিসঙ্গত।
কট্টর বর্ণবাদী, নয়া নাৎসিবাদীসহ নানা উগ্রবাদী গোষ্ঠী আমেরিকায় তৎপর রয়েছে। প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে যে, বর্তমানে দেশটিতে এ রকম নয় শতাধিক গোষ্ঠী তৎপর রয়েছে। ২০১৫ সালের তুলনায় এ রকম গোষ্ঠীর সংখ্যা দেশটিতে ৩ শতাংশ বেড়েছে বলেও উল্লেখ করা হয় প্রতিবেদনে।
২০১১ সালে আমেরিকায় এ রকম গোষ্ঠীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি ছিল। সে বছর দেশটিতে এ জাতীয় গোষ্ঠীর সংখ্যা ১০১৮ ছিল বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
এদিকে আমেরিকার ফেডারেল পুলিশ অফিস (এফবিআই)ঘোষণা করেছে, ২০১৫ সালে ৫.৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ঐ বছরে মুসলমানদের উপর ইসলাম বিদ্বেষীরা ৫ হাজার ৮৫০ বার হামলা করেছে এবং ২০১৪ সালে এই হামলার সংখ্যা ৫ হাজার ৪৭৯ বার পরিলক্ষিত হয়েছে।