IQNA

ইমাম মাহদীর যে জন্ম হয়েছে তাতে কোন সন্দেহ নেই

15:33 - March 17, 2017
1
সংবাদ: 2602730
ইমাম মাহদী (আ.) এর জন্ম সম্পর্কে ঐ সময়ের মুসলমানরা এমনকি শাসকরা পর্যন্ত জানতো যে, ইমাম আসকারী (আ.) এর ঔরসে এক মহামানব জন্ম গ্রহণ করবেন। যিনি সমস্ত অন্যায়, অবিচার জুলুম অত্যাচারকে সমূলে উপড়ে ফেলে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করবেন। এই কারণে তারা ইমামের উপর বিভিন্ন কঠোরতা, অবরোধ আরোপ করে। যেন তাকে নিঃশেষ করে ইমাম মাহদী (আ.) এর জন্ম ও ইমামতের ধারাকে রুখতে পারে। (শেখ তুসি, কিতাবুল গেইবাত, পৃ. ২৩১।)

বার্তা সংস্থা ইকনা'র রিপোর্ট: ইমাম মাহদী (আ.)এর জন্ম সম্পর্কে মোন্তাখাবুল আসর গ্রন্থটির লেখক ২১৪টি হাদিস বর্ণনা করেছেন। এসবের মধ্যে এমন ১৪৬টি হাদিস রয়েছে যেখানে বলা হয়েছে তিনি ইমাম হাসান আসকারী (আ.)এর সন্তান। সেই সঙ্গে এই গ্রন্থে এমন ৩১৮টি হাদিস রয়েছে যেখানে বলা হয়েছে, ইমাম মেহদী (আ.) দীর্ঘ জীবনের অধিকারী হবেন। এ ছাড়া, ‘মোন্তাখাবুল আসর’ গ্রন্থে বর্ণিত ৯১টি হাদিসে বলা হয়েছে, ইমাম মেহদী (আ.) দীর্ঘকাল লোকচক্ষুর অন্তরালে থাকবেন।

যেসব ঐতিহাসিক ইসলামের ইতিহাস রচনা করেছেন তারাও ইমাম মাহদী (আ.)-এর জন্মের কথা লিখে যেতে ভোলেননি। তারা লিখেছেন, ২৫৫ হিজরিতে ইমাম মেহদী (আ.) বর্তমান ইরাকের সামেরা শহরে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা ইমাম হাসান আসকারীর (আ.) শাহাদাতের পাঁচ বছর আগে এই মহান ইমামের জন্ম হয়।

পরিশেষে বলা যায়, ইমাম মাহদীর (আ.) জন্ম এবং তার বিশাল জীবন ইসলামের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এবং পবিত্র কুরআন ও হাদিস দ্বারা স্বীকৃত। নিষ্পাপ ইমামগণও এ সম্পর্কে গুরুত্ব দিয়ে হাদিস বর্ণনা করেছেন। এমনকি ঐতিহাসিকরাও তাঁর জন্মের কথা স্থান ও কাল উল্লেখপূর্বক বর্ণনা করেছেন।

ইসলামের সর্বশ্রেষ্ঠ নবী ও মহামানব রাসূল (সা.) এর সাথে ইমাম মাহদীর বেশ কিছু বিষয়ে চমৎকার মিল পাওয়া যায়। মহানবী (সা.) যেমন সর্বশেষ নবী তেমনি ইমাম মাহদী ও সর্বশেষ ইমাম। মহানবী (সা.) এর শুভাগমন সম্পর্কে যেমন পূর্ববর্তী নবী বা রাসূলগণ ভবিষ্যৎ বাণী করে গেছেন, তেমনি ইমাম মাহদী (আ.) এর আগমন সম্পর্কেও মহানবী (সা.) এবং পূর্ববর্তী ইমামগণ বাণী রেখে গেছেন।

প্রতিশ্রুত ইমাম মাহদীকে সাধারণত : ‘ইমামুল আসর’ বা নির্দিষ্ট সময়ের ইমাম এবং সাহিবুজ্জামান বা জামানার নেতা বলা হয়। জন্মের পর মহানবী (সা.) এর নামেই তার নাম রাখা হয়। তিনি জন্মের পর থেকে তার শ্রদ্ধেয় পিতা ইমাম আসকারী (আ.) এর প্রত্যক্ষ ও বিশেষ তত্ত্বাবধানে ছিলেন।

স্বৈরশাসকের হুমকির কারণে ইমামে মাহদীর (আ.) জন্মের খবর গোপন রাখা হয়েছিল। কারণ আব্বাসীয় শাসকরা ইমামের বংশ ধারকে ধ্বংস করে ফেলার জন্য প্রতিহিংসা পরায়ণ হয়ে হন্যে হয়ে খুঁজছিল। বাড়ি বাড়ি তল্লাশি করে খুঁজে বের করার জন্য ওরা গোপন ঘাতক বাহিনী লেলিয়ে দিয়েছিল। তাই স্বয়ং আল্লাহ তা’আলা শিশু ইমামকে শয়তানের হাত থেকে রক্ষা ও সুরক্ষিত রেখেছিলেন। সূত্র: shabestan
প্রকাশিত: 1
পর্যালোচনা করা হচ্ছে: 0
প্রকাশযোগ্য নয়: 0
Shohel
0
0
সত্য
captcha