তার প্রস্তাব, গরুর সংখ্যা স্থিতিশীল রাখা সুনিশ্চিত করার জন্য কর্তৃপক্ষ তৈরি করতে হবে। সেই কর্তৃপক্ষ সংবিধানের ৩৭ এবং ৪৮ নম্বর ধারা দু’টি মেনে চলা হচ্ছে কিনা তা লক্ষ্য রাখবে। ওই ধারাগুলো মেনে না চললে প্রতিবন্ধক শাস্তি এবং মৃত্যুদণ্ডের প্রস্তাব রাখা হয়েছে।
গো-রক্ষার জন্য যে কর্তৃপক্ষ গঠন করা হবে তাতে পশুপালন সচিব, কৃষি, অর্থনীতি, পশু কল্যাণ এবং প্রাচীন ভারতের ইতিহাস বা সংস্কৃতি জগতের ৫ জন বিশিষ্ট ব্যক্তি থাকবেন। তারা গরুর সংখ্যা রক্ষা করাসহ গরুর মর্যাদা সূচক তৈরি করবেন। বিলে বলা হয়েছে, প্রতি বছর ওই সূচক তৈরি করতে হবে এবং তা সংসদে পেশ করতে হবে। গো-রক্ষা গুরুত্বপূর্ণ কেন তা নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে পাঠক্রমও তৈরি করার বিধানও রাখা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় আইন কমিশন একমাত্র সন্ত্রাসবাদী কাজকর্ম ছাড়া অন্য সমস্ত অপরাধের ক্ষেত্রে মৃত্যুদণ্ড বা ফাঁসির সাজা তুলে দেয়ার সুপারিশ করেছে। গত বুধবারই কেন্দ্রীয় আইন কমিশন তাদের ২৬২ পাতার রিপোর্ট সম্বলিত সুপারিশ সংসদের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভায় জমা দিয়েছে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হংসরাজ আহির। কিন্তু গতকাল শুক্রবারই গরু জবাইয়ের অপরাধে বিজেপি নেতা সুব্রমনিয়াম স্বামী তার বিলে ফাঁসির সাজা দেয়ার দাবি করেছেন। সূত্র: parstoday