IQNA

ইসলামের দৃষ্টিতে আত্মীয়তার সম্পর্ক

23:54 - March 26, 2017
সংবাদ: 2602787
কি আমল করলে জান্নাতে যাওয়া যাবে - এক সাহাবীর এই প্রশ্নের উত্তরে রাসূল (সা.) বলেন : ‘আল্লাহর ইবাদত কর, তার সাথে শরীক করো না, নামাজ কায়েম কর, যাকাত দাও এবং আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা কর। কেননা মহান আল্লাহ আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।

বার্তা সংস্থা ইকনা: তিনি বলেন, এবং আল্লাহ যে সম্পর্ক বজায় রাখতে আদেশ করেছেন তারা তা বজায় রাখে। সুরা রাআদ: আয়াত-২১

ইসলাম তাগিদের সাথে নিকট জনের অধিকার আদায়ের নির্দেশ দেয়: এবং আত্মীয়কে তার প্রাপ্য অধিকার দাও। (ইসরা -২৬)

পবিত্র কুরআনে আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করাকে ফাসাদ এবং পৃথিবীতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি বলে আখ্যা দেয়া হয়েছে:

তাহলে কি এমন হতে পারে যে, ক্ষমতা পেলে তোমরা পৃথিবীতে বিপর্যয় সৃষ্টি করবে এবং আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করবে । (মুহাম্মদ -২২)

যে ব্যক্তি আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করে, তার দাবিগুলো পূর্ণ করে তার জীবন হয়ে উঠে রকতপূর্ণ, সমৃদ্ধ স্বচ্ছল এবং দীর্ঘায়ু লাভের উপযোগী। হযরত আনাস রা. থেকে বর্ণিত এক হাদীসে রাসূল (সা.)বলেন : ‘যে ব্যক্তি স্বচ্ছলতা ও দীর্ঘায়ু কামনা করে সে যেন আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখে।’

আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করা জান্নাত লাভের সহায়ক। আবু আইয়ুব আনসারী রা. থেকে বর্ণিত, জনৈকব্যক্তি রাসুলুল্লাহকে(সা.) জিজ্ঞাসা করলেন, হে আল্লাহর রাসুল! আমাকে এমন একটি আমল বলে দিন যা জান্নাতে প্রবেশ করাবে। উত্তরে রাসুল(সা.) বললেন: আল্লাহর ইবাদত কর, তার সাথে কোন কিছু শরীক করো না, ভালভাবে নামাজ আদায় কর, যাকাত দাও এবং আত্মীয়তার সম্পর্ক অক্ষুণ্ন রাখ।

মহানবী(সা.) বলেন: সম্পর্কের বিনিময়ে সম্পর্ক স্থাপনকারী আত্মীয়তার বন্ধন রক্ষাকারী নয়। বরং আত্মীয়তার বন্ধন রক্ষাকারী হল সে যে সম্পর্ক ছিন্নকারীর সাথে সম্পর্ক রক্ষা করে চলে।

ট্যাগ্সসমূহ: ইকনা ، ইসলাম ، পবিত্র ، কুরআন ، মহানবী
captcha