বার্তা সংস্থা ইকনা: আমিরুল মু’মিনিন হযরত আলী (আ.) বলেছেন: মুমিন ব্যক্তি যদি এমন কাজ করে বসে যাতে তার ভাই লজ্জা পায় অথবা রাগান্বিত হয় তাহলে তা বিচ্ছিন্নতার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। হিংসা-বিদ্বেষও এমন একটি রোগ যা কেবল আত্মাকেই পেরেশান করে না বরং শরীরকেও অসুস্থ করে তোলে এবং অন্যদের সাথে সম্পর্কের ক্ষেত্রেও বিঘ্ন সৃষ্টি করে। ইমামের ভাষায়-বন্ধুর হিংসা সেই বন্ধুত্বের ভিত্তিহীনতারই প্রমাণ।
ইমাম আলী (আ.) বলেছেন, বন্ধুত্ব হওয়া উচিত ঈমান ও প্রকৃত ভালোবাসার ভিত্তিতে। জ্ঞানী, প্রজ্ঞাবান এবং সচ্চরিত্রবানদের সাথে বন্ধুত্ব করার ওপর তিনি জোর দিয়েছেন আর বিবেকহীনদের সাথে বন্ধুত্ব করার ব্যাপারে তিনি নিরুৎসাহিত করেছেন।
তিনি বলেছেন: মূর্খ বা অজ্ঞদের সহচর হয়ো না,কেননা তারা তাদের মন্দ কাজকে সুন্দর বলে তুলে ধরবে এবং তুমিও সেরকম হও-তারা সেটাই আশা করবে।
সামাজিক জীবনযাপনের জন্যে উৎকৃষ্ট এবং পরিপূর্ণ কিছু দিক-নির্দেশনা দিয়ে ইমাম আলী (আ) তাঁর সন্তান ইমাম হাসান (আ) কে একটি চিঠি লিখেছেন।
ঐ চিঠিতে তিনি বলেছেন: হে আমার সন্তান! তোমার এবং অন্যদের মাঝে তুলনা করতে শেখো! তারপর যা তোমার নিজের জন্যে পছন্দ করো অন্যদের জন্যেও তা পছন্দ করো! তোমার নিজের জন্যে যা পছন্দ করবে না তা অন্যদের জন্যেও করো না! পূর্ণতার এরকম পর্যায়ে পৌঁছা যদিও বেশ কঠিন ব্যাপার তবুও আমরা যদি সবাই পরস্পরে এ রকম ব্যবহার করি তাহলে একটি পূত পবিত্র সমাজ গড়ে উঠবে।
আমিরুল মু’মিনিন হযরত আলী(আ.) বলেছেন: «إنَّ أخاكَ حَقّا مَن غَفَرَ زلّتَكَ و سَدَّ خَلّتَكَ ، و قَبِلَ عُذْرَكَ ، و سَتَرَ عَوْرَتَكَ ، و نَفى وَجلَكَ ، و حَقّقَ أملَكَ.» তোমার প্রকৃত ভাই এবং বন্ধু হচ্ছে সেই ব্যক্তি যে, তোমার ভুলত্রুটিকে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখে, তোমার প্রয়োজন মেটায়, তোমার ত্রুটিকে গোপন রাখে, তোমার সমস্যার সামাধান করে এবং তোমাকে সর্বদা সাহস যোগায়। সূত্র: shabestan