IQNA

ইমাম মাহদীর প্রতীক্ষাকারীরা কিয়ামতের দিন কার সাথে পূণরুত্থিত হবে

9:20 - July 27, 2017
সংবাদ: 2603514
পবিত্র কুরঅঅনে দুই ধরনের ইমামের কথা বলা হয়েছে, ইমামগণ, «ائمةً یَهدونَ بِأمرِنا» যারা সত্য ও নূর ও বেহেশতের পথে হেদায়াত করবে। বাতিল ইমামগণ, ائمةً یَدعونَ الی النار» যারা জাহান্নামের দিকে ঠেলে নিয়ে যাবে।

শাবিস্তানের উদ্ধৃতি দিয়ে বার্তা সংস্থা ইকনা'র রিপোর্ট: সূরা বনী ইসরাইলের ৭১ নম্বর আয়াতে মহান আল্লাহ বলেছেন-

يَوْمَ نَدْعُوا كُلَّ أُنَاسٍ بِإِمَامِهِمْ فَمَنْ أُوتِيَ كِتَابَهُ بِيَمِينِهِ فَأُولَئِكَ يَقْرَءُونَ كِتَابَهُمْ وَلَا يُظْلَمُونَ فَتِيلًا

তারপর সেই দিনের কথা মনে কর যেদিন আমি মানুষের প্রত্যেক দলকে তাদের নেতা সহকারে ডাকব। সেদিন যাদের আমলনামা তাদের ডান হাতে দেওয়া হবে তারা নিজেদের কার্যকলাপ পাঠ করবে এবং তাদের ওপর সামান্যতম জুলুমও করা হবে না।

চিন্তাদর্শ এবং সামাজিক বিষয়ে প্রতিটি মানুষই একজন নেতাকে আদর্শ হিসেবে গ্রহণ করে এবং জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে তাঁকে অনুসরণ করে। কুরআন এই আয়াতে বলছেঃ কিয়ামতেও মানুষেরা তাদের সেইসব নেতার সাথেই একসাথে পুনরুত্থিত হবে এবং কেননা আখেরাত হচ্ছে এই পৃথিবীর জীবনেরই প্রতিচ্ছবি বা প্রতিকৃতি।

যদি কারো আদর্শিক নেতা নূর এবং হেদায়েতের ইমাম হন তাহলে তাঁর আনুগত্যকারীও মুক্তি পাবে এবং বেহেশতে প্রবেশ করবে। আর যদি কারো নেতা দুর্নীতি পরায়ন, ফাসেদ কিংবা বিপথগামী হয় তাহলে তার অনুসরণকারীও কিয়ামতে দোযখের অধিবাসী হবে। এ আয়াতের ধারাবাহিকতায় আরো বলা হয়েছেঃ অবশ্য কিয়ামতের বিচারদিনে ঐশী ন্যায়ের ভিত্তিতে বিচারের ব্যবস্থা হবে। সেদিন কারো ওপরই বিন্দুমাত্রও অন্যায় অবিচার করা হবে না।

সুতরাং সমাজনেতা কিংবা মতাদর্শগত নেতার অনুসরণের নিদর্শন বা কীর্তি কেয়ামত পর্যন্ত অক্ষুন্ন থাকবে এবং কিয়ামতে মানুষের মাঝে শ্রেণীবিন্যাস করা হবে তাদের নেতাদের মর্যাদার ভিত্তিতে।

নেতৃত্ব এবং ইমামতি মানুষের জীবন জুড়ে বিরাজ করে এবং তা মানুষের চিরন্তন দুভার্গ্য কিংবা সৌভাগ্যের ক্ষেত্র তৈরি করে।

অতএব যারা দুনিয়াতে সঠিক ইমামের সন্ধান পেয়েছে কিয়ামতের দিনও তাদের সাথেই তাদের হাশর নাশর হবে। আর ইমাম মাহদীর প্রকৃত প্রতীক্ষাকারীরাও কিয়ামতের দিন তার সাথেই পূণরুত্থিত হবে।
captcha