তাদের পিতা সর্বদা চেষ্টা করতেন তার সন্তানরা যেন কুরআনের হাফেজ হয়। এজন্য তিনি তার সন্তানদেরকে বিভিন্ন কুরআন হেফজ সেন্টারে ভর্তি করানোর চেষ্টা করেছিল। কিন্তু দৃষ্টি প্রতিবন্ধী হওয়ার কারণে কোন মাদ্রাসা তাদেরকে গ্রহণ করতে রাজি হয়নি।
অবশেষে সালাম ও আহমাদের পিতা নিজেই তার সন্তানদেরকে কুরআন হেফজ করানোর জন্য দায়িত্ব পালন করেন। পিতার চেষ্টায় সালাম ৯ বছর বয়সে এবং আহমাদ ১২ বছর বয়সে কুরআন হেফজ করেন।
সালাম ৯ বছর বয়সে সম্পূর্ণ কুরআন হেফজ করেন। এরপর ৫ বছর যাবত মিশরের ক্বারায়াত ট্রেনিং সেন্টারে তাজবিদ শিক্ষা অর্জন করনে। বর্তমানে তিনি মিশরের আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামী তাবলীগ কলেজে অধ্যয়নরত রয়েছেন।
আহমাদ ১৩ বছর বয়সে সম্পূর্ণ কুরআন হেফজ করেছেন। পরবর্তীতে তাজবিদ শিক্ষা অর্জনের জন্য মিশরের ক্বারায়াত ট্রেনিং সেন্টারে ভর্তি হন। তাজবিদ শিক্ষা অর্জনের পর মিশরের প্রসিদ্ধ ওস্তাদ শাইখ মুহাম্মাদ আরাফে'র উপস্থিতিতে সম্পূর্ণ কুরআন তিলাওয়াত করে হেফজ ও তিলাওয়াতের সার্টিফিকেট অর্জন করেন।
আহমাদ মিশরের আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামী তাবলীগ কলেজের কোর্স সম্পন্ন করে কুরআনের প্রচারক, খতিব ও হেফজ প্রশিক্ষণের কাজে ব্যস্ত রয়েছেন।
"আল বাওয়াবাতুন নিউজ" সংবাদ সংস্থার সাথে এক সাক্ষাৎকারে এই দুই ভাই বলেন: তাদের আশা রয়েছে শিশু এবং বয়স্কদের জন্য ফ্রিতে কুরআন হেফজ প্রশিক্ষণ দেবেন এবং মহানবীর (সা.) হাদিস:
«إِذَا مَاتَ الْمُؤْمِنُ انْقَطَعَ عَمَلُهُ إِلَّا مِنْ ثَلَاثٍ صَدَقَةٍ جَارِيَةٍ أَوْ عِلْمٍ يُنْتَفَعُ بِهِ أَوْ وَلَدٍ صَالِحٍ يَدْعُو لَهُ »
অর্থ: যখন কোন মু'মিন পৃথিবী থেকে বিদায় নেয়, তার সাথে সকল কিছু বিদায় নেই; শুধুমাত্র এই তিনটি জিনিশ ব্যতীত: ১- সাদাকাত্ব আল-জারিয়া (জনগণের সেবার জন্য যেসকল কাজ করা হয় এবং মহান আল্লাহ রাস্তায় তা অব্যাহত থাকে) এবং ২- জ্ঞান যা থেকে মানুষ উপকৃত হয় এবং ৩- তার সৎ সন্তান যারা তার জন্য দোয়া করবে।
পরবর্তী প্রজন্মের নিকট পৌঁছে দেয়ার চেষ্টা করব।