বার্তা সংস্থা ইকনা'র রিপোর্ট: সূরা আনকাবুতের ৪৫ নম্বর আয়াতে মহান আল্লাহ এরশাদ করেছেন:
اتْلُ مَا أُوحِيَ إِلَيْكَ مِنَ الْكِتَابِ وَأَقِمِ الصَّلَاةَ إِنَّ الصَّلَاةَ تَنْهَى عَنِ الْفَحْشَاءِ وَالْمُنْكَرِ وَلَذِكْرُ اللَّهِ أَكْبَرُ وَاللَّهُ يَعْلَمُ مَا تَصْنَعُونَ
(হে রাসূল) তুমি তোমার প্রতি প্রত্যাদিষ্ট কিতাব তিলাওয়াত করো এবং নামাজ কায়েম করো। নিশ্চয় নামাজ (মানুষকে) অশ্লীলতা ও কদর্যতা হতে দূরে রাখে। আল্লাহর স্মরণই সর্বশ্রেষ্ঠ। তোমরা যা করো আল্লাহ তা জানেন।
এই আয়াতের বক্তব্য বিশ্বনবী (সা.)কে উদ্দেশ করে বলা হলেও এতে সব মুমিন বান্দার জন্য দিক-নির্দেশনা রয়েছে। ঈমানদার ব্যক্তির দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য মহান আল্লাহ সরাসরি বিশ্বনবী (সা.)কে লক্ষ্য করে কথাগুলো বর্ণনা করেছেন।
প্রতিদিন একজন ঈমানদার ব্যক্তিকে ১৭ রাকাত ফরজ নামাজ আদায় করতে হয়। কেউ যদি অত্যন্ত খুশু-খুজুর সঙ্গে এবং একাগ্রতা সহকারে পবিত্রতা অর্জনের উদ্দেশ্যে এই নামাজ আদায় করতে পারে তাহলে সব ধরনের পাপকাজ ও অপত্রিতা থেকে তার মুক্তি পাওয়ার ক্ষেত্র সৃষ্টি হয়। নামাজের অন্যতম উপকার হলো তা মানুষের আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। অবশ্য গোনাহ থেকে দূরে থাকা হচ্ছে নামাজের সবচেয়ে ছোট উপকার। নামাজের সবচেয়ে বড় উপকার হচ্ছে আল্লাহ ও তার নেয়ামতগুলোর স্মরণ যা সৃষ্টিকর্তার দরবারে সবচেয়ে বড় ইবাদত হিসেবে গণ্য হয়।
নামাজ আদায় ও কুরআন তেলাওয়াত ইসলামের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দু’টি ইবাদত। নবী-রাসূলগণ এই দুই ইবাদতের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন।
পবিত্র কুরআনে আল্লাহর কোনো কোনো বিধানের দর্শন বর্ণনা করা হয়েছে। নামাজের দর্শন বর্ণনা করতে গিয়ে বলা হচ্ছে- এটি মানুষকে পাপকাজ থেকে দূরে রাখে।
নামাজ ব্যক্তির পাশাপাশি সমাজ সংশোধনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। শাবিস্তান