বার্তা সংস্থা ইকনা: মিশরের ক্ষুদে হাফেজ মারওয়াহ মাহমুদ আবদুল হাদি ওবাইদ আল-আজহারের প্রাথমিক শিক্ষা কেন্দ্র "আজ-জাহরিয়া"য় পড়তেন।
১১ বছরের মারওয়াহ পড়া-লেখায় অনেক ভালো ছিলেন এবং ক্লাসে সর্বোচ্চ নম্বর পেতেন। তিনি ডাক্তারের ভুলের কারণে একটি সহজ টনসিল অপারেশনের সময় মারা গিয়েছেন।
মারওয়াহ টনসিল অপারেশনের জন্য দাকাহলিয়া জেলার শারবিন মেডিকেল সেন্টারে ভর্তি হয়েছিলেন। অপারেশনের জন্য বেহুশ করার ক্ষেত্রে ডাক্তার ভুল করে। আর এজন্য তার মৃত্যু হয়।
মারওয়াহে'র পিতা মাহমুদ আব্দুল হাদী ওবাইদ বলেন: আমার মেয়ের টনসিল অপারেশনের জন্য একটি বেসরকারি হাসপাতালে নির্বাচন করি। মারওয়াহকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে তার অপারেশনে জন্য অনেক সময় লাগে। এজন্য আমরা চিন্তিত হয় এবং দেরী হওয়ার কারণ জিজ্ঞাসা করি। নার্সদের চেহারা দেখে বুঝতে পারি তরা বিভ্রান্তির মধ্যে রয়েছে। এ দেখে চিন্তা আরও বেড়ে যায়। আমি পুনরায় জিজ্ঞাসা করি। তখন তারা বলেন: আপনার মেয়ে ইন্তেকাল করেছেন।
তিনি বলেন: আমি সার্জনের সাথে দেখা করতে চাই। কিন্তু আমাকে বলে যে, তিনি অপারেশন থিয়েটার থেকে চলে গিয়েছে। আমার মেয়ে আমকে ছেড়ে চলে গিয়েছে; তবে জানিনা, অপারেশন চলাকালীন সময় কেন ডাক্তার পালিয়ে গেলো।
মাহমুদ আব্দুল হাদী ওবাইদ আরও বলেন: আমি যখন অপারেশন থিয়েটারে যায় তখন সকলে সেখান থেকে পালিয়ে যায়। চিৎকার করে কান্না করার পর আমার মেয়েকে হাসপাতাল থেকে নিয়ে যেতে চাই। ঠিক তখন এক রোগী আমাকে বলেন; না! এই কাজ করো না। এখন যদি মেয়েকে হাসপাতাল থেকে নিয়ে যাও তাহলে তুমি, তোমার এবং তোমার কন্যার অধিকার খর্ব করবে। তোমার মেয়ের কেনো মৃত্যু হলো সে ব্যাপারে জানার চেষ্টা করো।
মারওয়াহর বাবা আরও বলেন: যেই দুই ডাক্তার আমার মেয়ের অপারেশন করছিলো পূর্বেও তাদের ভুল চিকিৎসার জন্য অন্যান্য রোগীরা নিহত হয়েছে। আমার কন্যার মৃত্যুর পর এ ব্যাপারটি জানতে পেরেছি।
তিনি বলেন: মেয়ের অপারেশনের সময় আমি ডাক্তারকে একথা বলেছিলাম যে, যদি কোন সাহায্য লাগে তাহলে আমাকে বলো। আমরা তাকে অন্য হাসপাতালে নিয়ে যেতে প্রস্তুত রয়েছি। তবে তরা আমাকে বলেন: না! কোন সমস্যা নেই।
মিশরের এই ক্ষুদে হাফেজের পিতা তার কন্যার মৃত্যুর জন্য ডাক্তারদের বিরুদ্ধে পুলিশের নিকট অভিযোগ করেন। এই ঘটনার পর চিকিৎসকরা পালিয়েছে। বর্তমানে পুলিশ চিকিৎসকদের খুঁজছে।
iqna