IQNA

জীবনধারায় হালাল খাদ্যের প্রভাব

21:25 - January 14, 2018
সংবাদ: 2604789
আধ্যাত্মিকতার জন্য হালাল খাবার হচ্ছে সর্ব প্রথম ধাপ। সুতরাং মানুষকে আধ্যাত্মিকতা অর্জন করতে হলে অবশ্যই হালাল রুজি রোজগার করার পাশাপাশি তাকে অবশ্যই পবিত্র ও হালাল খাদ্য খেতে হবে।

জীবনধারায় হালাল খাদ্যের প্রভাব
বার্তা সংস্থা ইকনা'র রিপোর্ট: পবিত্র কুরআন হাদিস এবং নবী রাসূল ও ইমামগণ সর্বদা হালাল উপার্জন ও হালাল খাদ্যের প্রতি গুরুত্বারোপ করেছেন।
ইমাম জাফর সাদিক(আ.) বলেছেন: «لا تَدَع طَلَبَ الرِّزقِ مِن حِلِّهِ فإنّهُ عَونٌ لَكَ عَلى دِينِكَ؛ সর্বদা হালাল রুজি অর্জন করার জন্য চেষ্টা করবে। কেননা তা তোমাকে ধার্মিক হিসাবে বাচতে সাহায্য করবে।

সূরা মায়েদার ৮৭ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে- يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آَمَنُوا لَا تُحَرِّمُوا طَيِّبَاتِ مَا أَحَلَّ اللَّهُ لَكُمْ وَلَا تَعْتَدُوا إِنَّ اللَّهَ لَا يُحِبُّ الْمُعْتَدِينَ

হে মুমিনগণ! তোমরা ঐসব সুস্বাদু বস্তু হারাম করো না, যেগুলো আল্লাহ তোমাদের জন্যে হালাল করেছেন এবং সীমা অতিক্রম করো না। নিশ্চয়ই আল্লাহ সীমা অতিক্রমকারীদেরকে পছন্দ করেন না।

খাদ্য সামগ্রী, পানীয় সামগ্রী এবং হালাল ভোগ্যবস্তুগুলোকে আল্লাহ মুমিনদের জন্যে দিয়েছেন, তাই এগুলোকে পরিত্যাগ করা ঐশী রহমত ও দয়ার প্রতি ভ্রুক্ষেপহীনতার শামিল।

দুই. ইসলাম মানব স্বভাবসিদ্ধ একটি ধর্ম, তাই পবিত্র জিনিসগুলোকে ত্যাগ করা মানব স্বভাবের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ ণয়।

তিন. ইসলামে সবধরনের উগ্রতা নিষিদ্ধ, এ দু'টি আচরণই ঐশী সীমা লঙ্ঘনের পর্যায়ে পড়ে- হালালকে হারাম করা যেমন জায়েজ নয় তেমনি হারামকে হালাল করা জায়েজ নয়। এইসব বিধান আল্লাহর হাতে, মানুষের হাতে নয়।

চার. হালাল বস্তুগুলো থেকে নিজেকে বঞ্চিত করা ঠিক নয়। সেইসাথে হালাল বস্তুগুলো থেকে উপকৃত হবার ক্ষেত্রে বাড়াবাড়ি কিংবা অপচয় করাটাও উচিত নয়।

সূরা মায়েদার ৮৮ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে- وَكُلُوا مِمَّا رَزَقَكُمُ اللَّهُ حَلَالًا طَيِّبًا وَاتَّقُوا اللَّهَ الَّذِي أَنْتُمْ بِهِ مُؤْمِنُونَ

আল্লাহ তায়ালা যেসব বস্তু তোমাদেরকে দিয়েছেন, তন্মধ্য থেকে হালাল ও পবিত্র বস্তু খাও এবং আল্লাহকে ভয় করো, যার প্রতি তোমরা বিশ্বাসী। শাবিস্তান

captcha