IQNA

তেহরানের জুমার খতিব;

শহীদ ও আত্মত্যাগের সংস্কৃতির বিরুদ্ধে কাজ করাই ওয়াহাবি মতবাদের প্রধান উদ্দেশ্য

20:52 - April 13, 2018
সংবাদ: 2605506
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: তেহরানের জুমা নামাজের অস্থায়ী খতিব আয়াতুল্লাহ মোহাম্মাদ ইমামি কাশানি বলেছেন, আমেরিকান শক্তি, ইহুদিবাদী রাজনীতি এবং সৌদির মতাদর্শ ও অর্থ এই তিন অপশক্তি শহীদ ও আত্মত্যাগের সংস্কৃতির বিরুদ্ধে কাজ করছে।


বার্তা সংস্থা ইকনা: আজ ১৩ই এপ্রিলে তেহরানের জুমার খতিব বলেন: প্রথম খুতবা আলোচনা অব্যাহত রেখে বলতে হচ্ছে যে, প্রত্যেক পয়গাম্বরের সময় দজ্জালের উপস্থিত ছিল। কিন্তু সর্বদা দজ্জালের তুলনায় পায়গাম্বারগণ শক্তিশালী ছিলেন।
তিনি বলেন: কয়েক বছর পূর্বে একটা বই পড়েছি। ঐ বইটি সৌদি আরবের একজন শিক্ষার্থী তার স্নাতক ডিগ্রির থিসিস হিসেবে লিখেছে। রিয়াদ বিশ্ববিদ্যালয়ে এটি ডিফেন্স হয়েছে। ডিফেন্সে সে A+ পেয়েছে। সৌদি কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে এটি প্রিন্ট করা হয়েছে। প্রিন্ট করার পর বিভিন্ন দেশে প্রেরণ করা হয়েছে। এরমধ্যে আমার নিকটে এক খণ্ড পৌঁছেছে।
ঐ গ্রন্থের ব্যাপারে আয়াতুল্লাহ ইমামি কাশানি বলেন: গ্রন্থটির নাম উল্লেখ করতে চাচ্ছি না; তবে গ্রন্থে উল্লেখ করা হয়েছে, ইমাম হুসাইন (আ.)এর বিপ্লব হারাম ছিল। কারণ তৎকালীন খলিফা ইয়াজিদ ছিল এবং তৎকালীন খলিফার বিরুদ্ধে বিপ্লব করা হারাম।
এই বিষয়টি উল্লেখ করার প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে, শহীদ ও আত্মত্যাগের সংস্কৃতিকে চিরতরে মুছে দেওয়া।
তেহরানের জুমার খতিব বলেন: সিরিয়া এবং ইরাক রক্ষার জন্য যাদের রক্ত ঝরছে; সেগুলোকে যদি অনুস্মরণ করা হয় তাহলে কারবালায় পৌঁছানো যাবে। ইহুদিবাদী মতাদর্শ প্রচারের ফলে ইমাম হুসাইনের (আ.) কারবালার বিপ্লবের বিষয়টি ভুলে যাওয়া তো দুরে থাক বরং প্রতিনিয়ত কারবালার বিপ্লবের বিষয়টি জোরালো ভাবে স্মরণ করা হবে।
আশুরার সম্পর্কে বলতে হচ্ছে যে, মুসলমানরা ছাড়াও সকল খ্রিষ্টান, বৌদ্ধ এবং হিন্দুরাও এই দিনকে ভালোবাসার দৃষ্টিতে স্মরণ করে থাকে। ত্রিভুজ শক্তি তথা ওয়াশিংটন, তেল আভিভ এবং রিয়াদ শহীদের সংস্কৃতির বিরুদ্ধে কাজ করছে।

তেহরানের জুমা নামাজের অস্থায়ী খতিব আয়াতুল্লাহ মোহাম্মাদ ইমামি কাশানি বলেছেন, ৮০ বছর আগে ওয়াহাবি মতবাদ প্রচারের জন্য সৌদি সরকার গঠিত হয়েছিল। এ মতবাদ প্রচারের জন্য এখন এই অশুভ শক্তি ইসরাইল ও আমেরিকার সঙ্গে জোট বেধেছে।
তিনি বলেন, মুসলমানদের মধ্যে বিভক্তি ছাড়ানোর জন্য ৩০০ বছর আগে ব্রিটেন মুসলিম দেশগুলোতে কাজ শুরু করে। এ লক্ষ্য অর্জন এবং ইসলামের মর্যাদা ক্ষুণ্ণ করার জন্য ব্রিটিশ সরকার ৮০ বছর আগে একটি সরকার গঠন করেছিল; এখন সেই সরকার সৌদি আরবের সরকার হিসেবে পরিচিত।
এই সরকার গঠন করা হয়েছিল ওয়াহাবি মতবাদ প্রচারের জন্য এবং এ লক্ষ্য অর্জনের জন্য দেশটির সম্পদকে আর্থিক সমর্থন হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এ বাস্তবতা সাধারণ লোকজনের জানা ছিল না কিন্তু এখন তা সবার কাছে পরিষ্কার।
iqna

 

captcha