বার্তা সংস্থা ইকনা: ‘রেডিও নিউ জিল্যান্ড’ এর রিপোর্টে বলা হয়, মালয়েশিয়ায় জন্ম নেয়া নূরুল শামসুল নিজেকে একজন দৃঢ় চেতার মেয়ে হিসেবে বর্ণনা করেছেন। ২০১৮ সালের প্রতিযোগিতার শীর্ষ ২০ প্রতিযোগীদের একজন হিসেবে স্থান পেয়েছেন।
শামসুল জানান, মাত্রই তিন বছর আগে তিনি হিজাব পরিধান শুরু করেন এবং বলেছিলেন যে তার পরিবার এটি পরতে তাকে কখনো কোনো চাপ দেয়নি।
মুসলিম নারীদেরকে কিছু দিতে পারলে তিনি নিজেকে গর্বিত মনে করবেন বলে জানিয়েছেন।
শামসুল রেডিও নিউজিল্যান্ডকে বলেন, ‘সম্ভাব্য হয়রানির কারণে অনেক মুসলিম মেয়ে হিজাব পরিধান করতে ভয় পান। আমি আশা করি, এই প্রতিযোগিতায় আমার হিজাব পরিধান, সেসব মেয়েদের মনে কিছু হলেও আস্থা জাগাবে। হিজাব পরিধান করা ঠিক আছে, আপনি হিজাবের মধ্যেই সৌন্দর্য দেখতে পাবেন।’
শামসুল তার ব্লগ ‘দ্য গার্ল ইন দ্য রেড ওয়াইন স্কারফ’ এ লিখেছেন, তিনি অন্যদের কাছ থেকে বৈধতা পাওয়ার জন্য কিংবা তার সৌন্দর্যকে জাহির করতে প্রতিযোগিতায় প্রবেশ করেননি, বরং একজন ব্যক্তি হিসেবে তার নিজেকে বিকশিত করতে এবং এই উপায়ে মেয়েদের ক্ষমতায়নে সহায়তা করার জন্যই তার এখানে আসা।
মিস ইউনিভার্স নিউ জিল্যান্ড ২০১৮ এর চূড়ান্ত প্রতিযোগিতা ৪ আগস্ট অনুষ্ঠিত হবে। সূত্র: নিউ জিল্যান্ড ভিত্তিক ‘নিউজ হাব ডট’
আরো পড়ুন…
হিজাবের কারণে আমাকে প্রতিযোগিতা থেকে বাদ দেয়া হয়েছিল: মারিয়া ইদ্রিসী
কেবল হিজাব পরিধান করার কারণে সুন্দরি প্রতিযোগিতা থেকে বাদ দেয়া হয়েছিল বলে জানিয়েছেন ব্রিটিশ মুসলিম মডেল মারিয়া ইদ্রিসী।
সাবেক এমিরেটস হিজাবি নারী যুক্তরাজ্যের আইটিভি’কে দেয়া সাম্প্রতিক এক সাক্ষাত্কারে এই তথ্য জানান।
সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, প্রতিযোগিতা থেকে তাকে শেষ মুহূর্তে বাদ দেয়া হয়েছিল।
বাদ দেয়ার কারণ সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে এই তারকা বলেন, ‘কর্তৃপক্ষ মনে করছেন আমার হিজাব তাদের শ্রোতার সংখ্যা সীমিত করবে।’
ইদ্রিসী বলেন, ‘এটি একটি বড় ধরনের চুক্তি এবং একটি আউটলেট আমার হিজাবের কারণে এতে সাক্ষর করতে আপত্তি জানিয়েছিল। তারা বলেছে, ‘আমরা মনে করি মারিয়া ইদ্রিসী হিজাব পরিধান করে দর্শকদের সংখ্যা কমিয়ে দিচ্ছে, কারণ সে একজন মুসলিম।’
তিনি বলেন, ‘আমি খুবই হতাশ ছিলাম। আমি হিজাব পরিধান করি এটাই ছিল মূল কারণ। তারা মনে করছেন হিজাবের কারণে শ্রোতারা তাদের পণ্য কিনতে আগ্রহী হবেন না।’
২০১৫ সালে ইদ্রিসী ‘এইচএন্ডএম’ ব্র্যান্ডের ক্যাম্পেইনে অংশ নিয়ে প্রতিষ্ঠাটির প্রথম হিজাবি মডেল হন।
তারপর থেকে তিনি শালীন ফ্যাশনের কণ্ঠস্বরে পরিণত হন। চলতি বছরের এপ্রিলে নারীর প্রতি সহিংসতার বিরুদ্ধে যুক্তরাজ্যের ‘ইসলামিক রিলিফ’ নামে একটি সংগঠনের ক্যাম্পেইনে যোগদান করেন।