বার্তা সংস্থা ইকনা'র রিপোর্ট: দাহ্ভ (دحو) এর অর্থ হচ্ছে প্রসারণ এবং অনেকে কোন জিনিসকে তার স্বস্থান হতে নাড়া দেয়ার অর্থে তফসির করেছেন। সুতরাং দাহউল আরদ্ব (دحو الارض) (পৃথিবীর সম্প্রসারণ) এর অর্থ হচ্ছে যে, শুরুতে ভূপৃষ্ট পানি দ্বারা পরিপূর্ণ ছিল। এ পানি পর্যায়ক্রমে ভূপৃষ্ঠের বিভিন্ন গর্তে স্থান করে নেয় এবং পানির তলা হতে শুষ্ক ভূমি উঁকি দেয়। ফলে দিনের পর দিন ভূপৃষ্ঠ প্রসারিত হতে থাকে। পৃথিবী শুরুতে অসমতল ও বসবাস অযোগ্য ছিল। পরবর্তী বন্যা আকারের প্রচণ্ড বর্ষন ব্যাপক আকারে হতে থাকে ও ভূপৃষ্ঠকে ধুয়ে দেয় এবং উপত্যকাগুলোর পরিধি বাড়তে থাকে, আস্তে আস্তে ভূপৃষ্ঠ মানুষের বসবাস ও চাষাবাদের উপযোগী হয়ে ওঠে। আর এ সম্প্রসারণকেই দাহউল আরদ্ব বলা হয়।
পবিত্র কুরআনেও দাহউল আরদ্ব সম্পর্কে ইশারা করা হয়েছে। মহান আল্লাহ্ সূরা নাযিয়াতে’র ৩০ নং আয়াতে বলছেন:
«وَالْأَرْضَ بَعْدَ ذَلِکَ دَحَیهَا»
এবং এর পর পৃথিবীকে (আসমান ও জমিনকে) বিস্তৃত করেছেন। অধিকাংশ মুফাসসিরদের মতে এ আয়াতে (دَحَیهَا) শব্দের অর্থ হচ্ছে দাহউল আরদ্ব।
এ গুরুত্বপূর্ণ দিবসে বেশ কিছু আমল রয়েছে, যেগুলো অত্যন্ত সওয়াবের অধিকারী, তম্মধ্যে রয়েছে:
১। রোজা রাখা; যার সওয়াব সত্তর বছর রোজা রাখা ও ইবাদতের সমতুল্য।
২। দাহউল আরদ্বের রাত্রি জেগে থাকা; অর্থাৎ ২৪শে জিলক্বদের দিবাগত রাত্র জেগে থাকা ও ইবাদত করা। এর সওয়াব এক বছর ইবাদতের সমান।
৩। বিভিন্ন দোয়া ও যিকির পড়া।
৪। দাহউল আরদ্বের নিয়্যতে গোসল করা ও এ দিবসের বিশেষ নামায আদায় করা। নামজটি যোহরের পূর্বেই আদায় করতে হহবে,
৫। দুই রাকাত নামাজ, প্রতি রাকাতে সূরা হামদের পর ৫ বার সূরা শামস পড়া। নামাজ শেষে لا حَوْلَ وَلا قُوَّةَ إِلا بِاللَّهِ الْعَلِیِّ الْعَظِیمِ، লা হাওয়া ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহিল আলিউল আযীম পাঠ করা।