IQNA

ইমাম মাহদীর রাষ্ট্র সম্পর্কে পবিত্র কুরআনের প্রতিশ্রুতি

20:48 - December 17, 2018
সংবাদ: 2607571
ইমাম মাহদীর যুগের একটি বড় বৈশিষ্ট্য হচ্ছে তখন মানুষের মন থেকে সকল প্রকার লোভ লালসা চলে যাবে এবং মানুষের মধ্যে আত্মমর্যাদা এবং স্বনির্ভরতা বৃদ্ধি পাবে।

বার্তা সংস্থা ইকনা'র রিপোর্ট: ইমাম মাহদীর (আ.) আবির্ভাবের সুফল শুধুমাত্র পৃথিবীতে বসবাসকারী জীবিত ব্যক্তিরাই ভোগ করবে না। বরং এ সময় যে সব মু’মিন ব্যক্তিরা যারা নিজেদের জীবদ্দশাতে ইমাম মাহদীর (আ.) প্রতি বিশ্বাসপোষণ করত এবং তার আগমনের অপেক্ষায় ছিল, তারাও সুফল ও শান্তি অনুভব করবে।

ইমাম রেজা(আ.) ইমাম মাহদীর(আ.) আবির্ভাবের পূর্বের খারাপ ও কষ্টদায়ক অবস্থা এবং ইমাম মাহদীর(আ.) আবির্ভাবের পরের আনন্দময় ও সুখকর অবস্থা সম্পর্কে বলেন: এই সময় মানুষ এত আনন্দের ও সুখের জীবন-যাপন করবে যে, মৃতরাও জীবিত হওয়ার আশা প্রকাশ করবে।

রেওয়ায়েতে বর্ণিত হয়েছে যে, یشربون حبه؛ মানুষ তার ভালবাসাকে পান করবে। তারা ইমাম মাহদীকে(আ.) এত বেশী ভালবাসবে যে, সুস্বাদু পানীয়র মত তারা ইমামের ভালবাসাকে মনে-প্রাণে গ্রহণ করবে। অর্থাৎ ইমাম মাহদীর(আ.) প্রতি ভালবাসা তাদের অন্তরে গেঁথে থাকবে।

মহানবী(সা.) বলেছেন: عن النبی صل الله علیه وآله :«إذا خرج المهدی علیه السلام ألقی الله الغنی فی قلوب العباد حتی یقول المهدی: من یرید المال؟ و لا یأتیه أحد». ইমাম মাহদী যখন কিয়াম করবেন তখন মহান আল্লাহ মানুষের অন্তরে এত বেশী স্বনির্ভরতা দান করবেন যে তাদের মধ্যে আর কোন লোভ লালসা থাকবে না। এমনকি তিনি যখন বললেন, কার টাকা লাগবে এস তখন কেউই আসবে না।

captcha