IQNA

নঙ্গরহারে হিন্দুদের জন্য ধর্মীয় স্কুল নির্মাণ

20:18 - January 15, 2019
সংবাদ: 2607742
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সুইডিশ ইন্সটিটিউটের সহযোগিতা আফগানিস্তানে শিক্ষা মন্ত্রণালয় নঙ্গরহারে (আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশে) প্রথমবারের জন্য হিন্দু এবং শিখদের জন্য ধর্মীয় স্কুল নির্মাণ করেছে।

বার্তা সংস্থা ইকনা: নঙ্গরহার প্রদেশের শিক্ষা বিভাগের প্রধান হশিবুল্লাহ শিনওয়ারী এই স্কুলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বলেছেন: এই স্কুলটি নির্মাণের জন্য ৭০ লাখ আফগানি (আফগানিস্তানের মুদ্রা) ব্যয় হয়েছে। স্কুলটি নির্মাণের সকল ব্যয় সুইডিশ ইন্সটিটিউট বহন করেছে।
হশিবুল্লাহ শিনওয়ারী বলেন: প্রাথমিক এই স্কুলটি নির্মাণ করতে এক বছর সময় লেগেছে নঙ্গরহার প্রদেশে নব নির্মিত এই স্কুলটির নাম হচ্ছে "বাবা কবির"।
আফগান হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভসের শিখ ও হিন্দুদের মনোনীত একমাত্র প্রার্থী নরেন্দ্র সিং বলেন: নঙ্গরহার প্রদেশে প্রায় একশত হিন্দু ও শিখ পরিবার জীবন যাপন করে। এসকল পরিবারের শিশুদের জন্য এই স্কুলটি নির্মাণ করা হয়েছে। স্কুলটি নির্মাণের জন্য ফলে তারা সকলেই সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে। এই স্কুলট চালু হওয়ার মাধ্যমে আমাদের শিশুরা রাস্তায় ঘোরাঘুরি বাদ দিয়ে এই স্কুলে উপস্থিত হয়ে ধর্মীয় শিক্ষা অর্জন করতে পারবে।
এরপূর্বে নঙ্গরহারে উপযুক্ত স্কুল না থাকার কারণে উক্ত বসবাসরত হিন্দু ও শিখ পরিবারের শিশুরা লেখাপড়া করত না।
শুধুমাত্র হিন্দু ও শিখদের জন্য নির্মিত এই স্কুলটির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নঙ্গরহার প্রদেশের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রধান মিরওয়াইস বালখী।
উল্লেখ্য, শিখ ধর্মের অনুসারীদেরকে শিখ বলা হয়। এই শব্দটি সংস্কৃত ভাষা থেকে এসেছে। ১৫ শতাব্দীতে ভারতের পাঞ্জাব প্রদেশে এ ধর্মের গোড়াপত্তন হয়। একজন শিখকে চেনার উপায় হলো পাঁচটি "ক"। ১-কেশ (চুল)। ২-কারা (শিখদের ডানহাতে পড়ার বিশেষ বন্ধনী)। ৩-কৃপাণ (ছোট এক প্রকারের তরবারি)। ৪-কাশেরা(বিশেষ ধরনের অন্তর্বাস)। ৫-কঙ্গ(পাগড়ীর সাথে থাকা চিরুনী)। তবে এগুলো তাদের চিহ্ন যাদেরকে ধর্মীয় নিয়ম মেনে বিশেষভাবে পরিশুদ্ধ করা হয়েছে। শিখদের অধিকাংশই বসবাস করে ভারতের পাঞ্জাব এলাকায়। অবশ্য পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলেও তাদের বিস্তৃতি রয়েছে। হিন্দু এবং মুসলিম ধর্মের বিশ্বাস থেকে শিখদের নতুন বিশ্বাস নেওয়া হয়েছে। আকিদাগত ভাবে শিখদের সাথে হিন্দুদের অনেক পার্থক্য রয়েছে। তবে মুসলমানদের তুলনায় হিন্দুদের সাথে তাদের ইবাদতের পদ্ধতি এবং সামাজিক কাজকর্মের অনেক মিল রয়েছে।
iqna

 

captcha