পার্সটুডের উদ্ধৃতি দিয়ে বার্তা সংস্থা ইকনা’র রিপোর্ট: তিনি আজ তেহরানে জুমা নামাজের খোতবায় ইউরোপীয় শক্তিগুলোর দিকে ইঙ্গিত করে ইরান সরকারের প্রতি এই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
মার্কিন নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে ইরানের সঙ্গে বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক লেনদেনের বিশেষ ব্যবস্থা চালু করতে ইউরোপের অনেক দীর্ঘ সময় নেয়া এবং এই বিশেষ ব্যবস্থা বা পদ্ধতি চালুর ক্ষেত্রে এফএটিএফ (ফিন্যানশিয়াল অ্যাকশন টাস্কা ফোর্স) চুক্তিতে সই করা ও ক্ষেপণাস্ত্র বিষয়ে আলোচনার শর্ত জুড়ে দেয়ার তীব্র নিন্দা জানান জনাব খাতামি। ইরান এফএটিএফ চুক্তির সদস্য হলে হিজবুল্লাহ ও হামাসের মত সংগ্রামী দলগুলোর কাছে ইরানি অর্থ পাঠানোসহ ইরান সরকারের যে কোনো অর্থের চালান কথিত সন্ত্রাসে ব্যবহারের আশঙ্কার অজুহাত দেখিয়ে জব্দ করা যাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
তিনি এ প্রসঙ্গে বলেছেন, এফএটিএফ চুক্তিতে সই করা বা না করা ইরান সরকারের ঘরোয়া বিষয় এবং তাতে হস্তক্ষেপ করার কোনো অধিকার বাইরের শক্তিগুলোর নেই।
ইরানের জনগণ প্রতিরোধের মাধ্যমে মার্কিন সরকারের চাপিয়ে দেয়া চলমান অন্যায্য নিষেধাজ্ঞাগুলোকে অকার্যকর করবে বলে আয়াতুল্লাহ খাতামি মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, জিহাদি পরিচালনার মাধ্যমে ও দুর্নীতিবাজদের প্রতি কঠোর হয়ে ইরান চলমান সংকটগুলো সমাধান করবে।
তেহরানের জুমা নামাজের অন্যতম অস্থায়ী খতিব সম্প্রতি ইরানে 'দেজফুল' নামের এক হাজার কিলোমিটার পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার কথা তুলে ধরে বলেন, শত্রুকে সামলানোর ও ইসলামী ইরানের প্রতিরক্ষা নীতির আলোকেই তৈরি করা হয়েছে এই ক্ষেপণাস্ত্র। ইরান তার প্রতিরক্ষার বিষয়ে দৃঢ়-সংকল্পবদ্ধ ও এখানে অন্য কোনো বিষয় বিবেচনার সুযোগ নেই বলে তিনি মন্তব্য করেন।
শত্রুদের হতাশ করে দিয়ে ইরানের ইসলামী বিপ্লবের চল্লিশতম বার্ষিকী উদযাপনের আসন্ন শোভাযাত্রা সবচেয়ে মহাসমারোহে পালন করা হবে বলে খাতামি জানান। iqna