IQNA

নারী এবং হকিকত

22:42 - March 27, 2019
সংবাদ: 2608212
আমিরুল মু’মিনিন হযরত আলী(আ.) বলেছেন, «الحمدلله المتجلّی لخلقه بخلقه»আল্লাহর তাজাল্লি বা বহি:প্রকাশ ঘটেছে মানুষের মধ্যে। সুতরাং সৃষ্টির মধ্যে মহান স্বত্বার বহি:প্রকাশ ঘটেছে। আর সেটার শ্রেষ্টরূপ পেয়েছে মানুষের মধ্যে।

বার্তা সংস্থা ইকনা'র রিপোর্ট: হকিকত বলতে আমরা বুঝি অস্তিত্বের মাঝে অনস্তিত্বের উপস্থিতি। আর প্রথমটাকে হক বা সত্য আর দ্বিতীয়টাকে বাতিল বা মিথ্যা বলা হয়।

নারী ও পুরুষ শুধুমাত্র জেন্ডার বা সংস্কৃতি সেটার মধ্যে আল্লাহর তাজাল্লি প্রকাশিত হয়েছে।

সূরা মু'মিনুনের নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে- الْعِظَامَ لَحْمًا ثُمَّ أَنْشَأْنَاهُ خَلْقًا آَخَرَ فَتَبَارَكَ اللَّهُ أَحْسَنُ الْخَالِقِينَ

অতঃপর শুক্রবিন্দুকে পরিণত করি ঘনীভূত রক্তে, এরপর ঘনীভূত রক্তকে পরিণত করি চর্বিত গোশতপিণ্ডে, অতঃপর চর্বিত গোশত-পিণ্ডকে অস্থি-পঞ্জরে রূপান্তরিত করি, অতঃপর সেই অস্থি-পঞ্জরকে গোশত দিয়ে আবৃত করি, পরিশেষে আমরা তাকে (প্রাণ সঞ্চার করে) অন্য এক সৃষ্টিতে পরিণত করি; সুতরাং প্রাচুর্যময় হলেন সেই আল্লাহ, যিনি সর্বোত্তম স্রষ্টা!

আল্লাহ মানুষকে অন্য সব সৃষ্টির চেয়ে উন্নত ও সর্বোত্তম বৈশিষ্ট্য দিয়ে সৃষ্টি করেছেন। আর এ জন্যই এই আয়াতে আল্লাহ নিজেকে সর্বোত্তম স্রস্টা বলে উল্লেখ করেছেন। মানুষ সৃষ্টির ক্ষেত্রে আল্লাহর শক্তি ও শৈল্পিক ক্ষমতা সম্পর্কে চিন্তা-ভাবনা ঈমান জোরদারের জন্য সহায়ক।

এরপর এই সূরার ৩০ নং আয়াতে বলা হয়েছে- وَإِذْ قَالَ رَبُّكَ لِلْمَلَائِكَةِ إِنِّي جَاعِلٌ فِي الْأَرْضِ خَلِيفَةً قَالُوا أَتَجْعَلُ فِيهَا مَنْ يُفْسِدُ فِيهَا وَيَسْفِكُ الدِّمَاءَ وَنَحْنُ نُسَبِّحُ بِحَمْدِكَ وَنُقَدِّسُ لَكَ قَالَ إِنِّي أَعْلَمُ مَا لَا تَعْلَمُونَ

যখন তোমার প্রতিপালক ফেরেশতাদেরকে বললেন, নিশ্চয়ই আমি পৃথিবীতে প্রতিনিধি সৃষ্টি করবো, তারা বললো আপনি কি সেখানে এমন কাউকে সৃষ্টি করবেন যারা অশান্তি সৃষ্টি করবে এবং রক্তপাত ঘটাবে? আমরাই তো আপনার প্রশংসা ও পবিত্রতা ঘোষণা করি। তিনি বললেন, আমি যা জানি, তোমরা তা জান না।

সৃষ্টি-জগতে মানুষের মর্যাদা এত উপরে যে মহান আল্লাহ মানুষ সৃষ্টি বা মানুষকে তার প্রতিনিধি বানাবার বিষয়টি ফেরেশতাদের কাছে উত্থাপন করেছেন।

captcha