বার্তা সংস্থা ইকনা'র রিপোর্ট: দিলীপ বাবু বলেন, ‘জাতীয় নাগরিকপঞ্জি বা এনআরসি নিয়ে ভয় পাওয়ার কোনও কারণ নেই। পশ্চিমবঙ্গের কোনও মানুষদের কেউ বলতে পারবে না যে বাইরে যাও, বা বাইরে থাকবে না। যারা বাংলাদেশ থেকে অবৈধভাবে ঢুকেছে, ‘অনুপ্রবেশকারী মুসলিম’ তাঁদের জন্যই এনআরসি দরকার আছে।’
বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ অবশ্য বাংলাদেশ থেকে আসা হিন্দুদের নাগরিকত্ব দেয়ার কথা বলেছেন। এ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘ওপার বাংলা থেকে যারা উদ্বাস্তু হিন্দু এসেছেন তাঁরা এই ভারতে থাকবেন। এখানে নাগরিকত্ব বিল পাস হলেই আমরা তাঁদেরকে নাগরিকত্ব দেবো। এ নিয়ে কোনও দ্বিমত নেই।’
অনুপ্রবেশ ইস্যুতে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমালোচনা করে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেটা চাচ্ছেন, যে অনুপ্রবেশকারীদের তাড়ানোর জন্য উনি একসময় পার্লামেন্টে আলোচনা চেয়েছিলেন, আজকে ওদের সংরক্ষণ দেয়ার জন্য উনি চেষ্টা করছেন। এভাবে তাঁরা লোককে বিভ্রান্ত করছেন। ওই ইস্যুতে ওনারাই রাস্তায় নেমেছেন। ওনারাই বিধানসভায় এনআরসির বিরুদ্ধে প্রস্তাব পাস করেছেন। আমরা কোথাও আলোচনা করিনি। আমরা বলেছিলাম, বিদেশিদের চিহ্নিত করার জন্য সুপ্রিম কোর্টের আদেশে অসমে যেরকম এনআরসি হচ্ছে, তা বাংলায় হওয়ার দরকার আছে। দুনিয়ার সমস্ত সভ্য স্বাধীন দেশে তার দেশের নাগরিকদের সূচি থাকে। কেবল আমাদের দেশে নেই। ওই সূচি (জাতীয় নাগরিকপঞ্জি) বানানোর মধ্যে কোনও দোষ নেই।’
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
বাংলায় এনআরসি করতে দেবো না: মমতা
অন্যদিকে, গতকাল সন্ধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভয় দিয়ে বলেছেন, ‘বাংলায় আমরা এনআরসি করতে দেবো না। সারা দেশেও হবে কিনা তা নিয়ে আমার সন্দেহ আছে। কেউ মানবে না। বিহার ইতোমধ্যেই বলে দিয়েছে আমরা মানবো না। কোনও এনআরসি হবে না। বিজেপি ওই ইস্যুতে রাজনৈতিক প্রচার করছে। করতে দিন। এটা ওদের রাজনৈতিক হাতিয়ার। এটাকে রাজনীতি হিসেবে দেখুন। আমাদের তো এটা হাতিয়ার নয়।’
মমতা বলেন, ভোটার তালিকায় যাদের নাম আছে, তাঁরা দেখে নেবেন তালিকায় নাম আছে কিনা। যার নেই ভোটার তালিকায় নামটা তুলে রাখবেন। আর কিচ্ছু করার দরকার নেই। যারা রটাচ্ছে ১৯৭১ সালের এই চাই, ওই চাই, কিন্তু এনআরসি হলে তবে তো। আমরা বলছি হবে না, হবে না, হবে না, তখন হবে না।’ এজন্য ভয় পাওয়ার কোনও কারণ নেই বলেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মন্তব্য করেন। পার্সটুডে