IQNA

তদন্তের মুখে ‘মুসলিম অব দ্যা ইয়ার’ মনোনীত নারী

22:26 - September 23, 2019
সংবাদ: 2609283
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বৃটেনের মুসলিম অব দ্য ইয়ার বা বছরের সেরা বৃটিশ মুসলিম হিসেবে মনোনীত এক নারীর বিরুদ্ধে জিহাদে উস্কানি দেয়ার অভিযোগে তদন্ত শুরু করেছে দেশটির পুলিশ। বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে সক্রিয় থাকা ওই নারীর নাম সুমাইরা ফারুক। সমপ্রতি বার্মিংহামে এক জনসভায় বক্তৃতা দেয়ার সময় ৩৮ বছর বয়সী ওই নারীর একটি ভিডিও ফুটেজ নিয়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার জন্ম হয়। এতে দেখা যায় তিনি বলছেন, জিহাদই হচ্ছে মুসলিমদের জন্য একমাত্র সমাধান।

বার্তা সংস্থা ইকনা'র রিপোর্ট: এরপরই তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে বৃটিশ গোয়েন্দারা। ডেইলি মেইল জানিয়েছে, অভিযুক্ত সুমাইরা ফারুক একজন ব্যবসায়ী ও সাংবাদিক। তিনি নুর টিভির প্রধান নির্বাহী। ফুটেজটি যেদিন ধারণ করা হয়েছে, সেদিন তিনি কাশ্মীরে ভারতীয় সরকারের আচরণের নিন্দা জানাচ্ছিলেন। সে সময় বার্মিংহামে শত শত মানুষের সামনে তিনি বলেন, আজকে শুধু একটিই স্লোগান উচ্চারিত হবে। তা হলো, কাশ্মীর থেকে কারফিউ তুলে নাও। তাদেরকে তাদের মতো করে বাঁচতে দাও। এরপরই সুমাইরা বলেন, মুসলিমদের জন্য শুধু একটি কথাই সত্য যে, জিহাদই একমাত্র সমাধান। কোনো আন্দোলন বা কিছুই না, শুধু জিহাদ দরকার।

রোববার বার্মিংহামে তার বাড়িতে গিয়ে তাকে তদন্তের বিষয়টি জানায় পুলিশ। এসময় সুমাইরা ফারুক তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের কথা অস্বীকার করে দাবি করেন, বক্তৃতায় জিহাদের শান্তিপূর্ণ অংশের কথা বুঝিয়েছেন তিনি। উল্টো তার অভিযোগ, তার ওই বক্তৃতা নিয়ে এত সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে কারণ তিনি হিজাব পরেন। এর আগে গত এপ্রিলে সাজিদ জাভিদ বৃটেনের প্রথম মুসলিম চ্যান্সেলর হিসেবে নিয়োগ পেলে এ নিয়ে আনন্দ প্রকাশ করেছিলেন তিনি।

এসময় তিনি সাজিদ জাভিদের উদ্দেশ্যে বলেন, আল্লাহ আপনাকে মুসলিমদের জন্য কাজ করার সাহস দিক। ইসলাম ধর্মে জিহাদ শব্দের বিভিন্ন রকম অর্থ হতে পারে। তবে জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট বা আইএস জিহাদের ভুল ব্যাখ্যা করে নিরীহ মানুষ হত্যা, ধর্ষণ ও নির্যাতনসহ তাদের সকল সহিংসতাকে গ্রহণযোগ্য করার চেষ্টা করে।

এরপর থেকে পশ্চিমা বিশ্বে জিহাদের ওই ভুল ধারণা থেকে ব্যাপকহারে ইসলামোফোবিয়া বা ইসলামভীতি ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। সুমাইয়া ফারুক বলেন, আপনার যদি বৃটিশ সরকারের কোনো বিষয় ভালো না লাগে আর আপনি তার প্রতিবাদ করেন তাহলে সেটিই ইসলামের দৃষ্টিতে জিহাদ। আপনি কি ভাবছেন আমি মুসলিমদের বলছি, যাও যুদ্ধ করো! আমি এশীয়দের বৃটিশ সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে উৎসাহিত করতে নানা সময়ে কাজ করেছি। আমি কীভাবে সহিংসতায় উস্কানি দিতে পারি! বিশ্বজমিন

captcha