আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ফ্রান্সের উত্তরাঞ্চলে অবস্থিত শরণার্থীদের একটি মসজিদ এবং গির্জা ভেঙে ফেলেছে সেদেশের কর্তৃপক্ষ।
বার্তা সংস্থা ইকনা: বন্দরনগরী ক্যালাসিস’এ ‘জঙ্গল’ হিসেবে পরিচিত শরণার্থী শিবিরে গতকাল (সোমবার) এ ঘটনা ঘটেছে। এ শিবিরে সিরিয়া ও সুদানসহ অন্যান্য দেশের হাজার হাজার শরণার্থী আশ্রয় নিয়েছে।
ফরাসি কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে, শিবিরের চারপাশের প্রায় ১০০ মিটার নিরাপত্তা এলাকা পরিষ্কার করার অংশ হিসেবে এ পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। শরণার্থীদের মৌলিক মানবাধিকার লঙ্ঘনের এ হীন আচরণে শরণার্থী ও মানবাধিকার কর্মীরা বিস্মিত ও ক্ষুব্ধ হয়েছেন।
পর্যবেক্ষকরা বলেছেন, ফরাসি কর্তৃপক্ষ উচ্ছেদের প্রাথমিক যে পরিকল্পনা তাদের দেখিয়েছিল তাতে উপাসনালয়গুলো ভাঙার কোনো কথা ছিল না।
ভেঙে দেয়া গির্জার পাদ্রী ‘তেফারি শুরেমো’ বলেন, গির্জা উচ্ছেদ করা হবে না বলে তাকে নিশ্চিত করেছিল ফরাসি কর্তৃপক্ষ। তিনি স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমকে জানান, কর্তৃপক্ষ আসলে শান্তি বিনষ্ট করতে চাইছে।
ক্যালাসিস শিবিরে প্রায় ৫ হাজার শরণার্থী জীবন কাটাচ্ছে। উন্নত জীবন যাপনের আশায় তারা ব্রিটেনে পাড়ি জমাতে চান। ফরাসি কর্তৃপক্ষ এ সব শরণার্থীর সেবায় এগিয়ে আসে নি বলে বাধ্য হয়ে তারা নিজেরাই নিজেদের প্রচেষ্টায় দোকান-পাট, স্কুল এবং মসজিদ-গির্জা তৈরি করেছে।
অপরদিকে জার্মান ডানপন্থী ‘AfD’ দলের নেতা শরণার্থীদের বিরুদ্ধে সেদেশের পুলিশকে অস্ত্র ব্যবহারের আহ্বান জানিয়েছে!
জার্মান ডানপন্থী ‘AfD’ দলের নেতা ‘ফারাভাকে পেট্রি’
‘ফারাভাকে পেট্রি’ এক সাক্ষাতকারে বলেছে: জার্মানের কেন্দ্রীয় পুলিশের উচিত যে সকল শরণার্থীরা অবৈধ ভাবে ইউরোপে প্রবেশ করবে তাদেরকে লক্ষ্য করে গুলি বর্ষণ করা!
এদিকে জার্মানি পুলিশ পেট্রির মন্তব্যকে নিন্দা জানিয়ে বলেছেন: শরণার্থীদের দিকে গুলি বর্ষণ করা হবে না
জার্মান চ্যান্সেলর স্টাফ প্রধান ‘পিটার আলটামাইর’ বলেছেন: এধরণের প্রস্তাব অর্থহীন ও অমানবিক।
জাতিসংঘের ইউএনএইচসিআর’এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৫ সালে ১০ লাখের অধিক শরণার্থী ইউরোপে প্রবেশ করেছে।