বার্তা সংস্থা
ইকনা: রাসূলের (সা.) প্রাণপ্রিয় দৌহিত্র ইমাম হুসাইনের (আ.) চেহলুমের শোকানুষ্ঠান অংশগ্রহণের উদ্দেশ্যে ইরাকের স্থানীয় নাগরিক সহ বিদেশী যায়েরের সংখ্যা প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
২০শে সফর মোতাবেক ২১শে নভেম্বর রোজ সোমবার ইরাকে সাইয়েদুশ শোহাদা ইমাম হুসাইনের (আ.) শোকাবহ চেহলুম বা চাল্লিশা। আর এ উপলক্ষে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আহলে বাইত (আ.)এর ভক্তগণ ইরাকে প্রবেশ করছেন।
কারবালার প্রাদেশিক কাউন্সিলার প্রধান 'নাসিব আল খাতাবী' গতকাল (১৯ নভেম্বর) ঘোষণা করেছেন, আরবাইনের শোকানুষ্ঠানের শুরু থেকে এ পর্যন্ত ২ কোটি যায়ের (যিয়ারতকারী) কারবালায় প্রবেশ করেছেন। এসকল যায়েরদের মধ্যে ৩৫ লাখ বিদেশী যায়ের রয়েছে।
তিনি বলেন: হযরত মুহাম্মাদ (সা.)এর প্রাণপ্রিয় দৌহিত্র ইমাম হুসাইন (আ.)এর চেহলুম উদযাপন করার জন্য ইরাকের এক কোটি ৬০ লাখ নাগরিক কারবালায় উপস্থিত হয়েছেন।
'নাসিব আল খাতাবী' আরও বলেন: ইরাকে আগামী সোমবার আরবাইন পালিত হবে। আশাকরা যাচ্ছে সোমবারের মধ্যে দেশী ও বিদেশী যায়েরের সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পাবে।
তিনি বলেন: আরবাইনে যায়েরের সঠিক সংখ্যা এখনই বলা সম্ভব নয়। কারণ, এখনও আরবাইনের দুই দিন বাকী আছে। এখনও অনেক যায়ের বিদেশ থেকে ইরাকে প্রবেশ করছেন এবং ইরাকের বিভিন্ন শহর থেকে কারবালার অভিমুখে পদযাত্রায় রত রয়েছেন।
বলাবাহুল্য, এখনও ইরাকের নাজাফ ও কারবালা সড়কে লাখ লাখ ধর্মপ্রাণ মুসলমান ইমাম হুসাইনের (আ.) পবিত্র অভিমুখী পদযাত্রায় রত আছেন। এটা বিশ্বের সর্ববৃহৎ শোকানুষ্ঠান হিসেবে ইতিমধ্যে খ্যাতি লাভ করেছে।
রাসূলের (সা.) প্রাণপ্রিয় দৌহিত্র ইমাম হুসাইনের (আ.) চেহলুমের শোকানুষ্ঠানকে যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপনের উদ্দেশ্যে ইরাকের নিরাপত্তা বাহিনী পবিত্র কারবালা শহরে নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা বহাল রেখেছে।
iqna