IQNA

আরবাইনের পদযাত্রার গুরুত্ব ও দর্শন

16:20 - November 08, 2017
সংবাদ: 2604271
ইমাম হুসাইনের আরবাইন তথা চল্লিশা এমন একটি সভ্যতা যা বিভিন্ন কারণ বসত বন্ধ ছিল। কিন্তু স্বৈরাচারী সাদ্দামের পতনের পর থেকে তা আবার শুরু হয়েছে এবং এর মাধ্যমে মানুষ আহলে বাইতের পথে চলার সুযোগ খুঁজে পেয়েছে।

বার্তা সংস্থা ইকনা'র রিপোর্ট: আহলে বাইতের সর্দার হচ্ছেন মহানবী হযরত মুহাম্মাদ(সা.) তিনি মদিনাকে গঠন করেন। মহানবী ইয়াসরেবকে মদিনায় রূপান্তরিত করেন এবং তার আহলে বাইত হচ্ছে সভ্যতার রূপকার।

ইসলামের কাজই হচ্ছে সভ্যতা সৃষ্টি করা। ইসলামের আকিদা, বিশ্বাস, নৈতিকতা এবং বিধিবিধান সবই হচ্ছে সভ্যতা তৈরির উপকরণ।

ইসলামের এই মূল্যবান সভ্যতাকে বনি উম্মাইয়া এবং আব্বাসীয়রা বিলাসিতা ও পার্থিবতার মধ্যে নিয়ে নষ্ট করে দিয়েছিল। তারা ইসলামী খেলাফতকে রাজতন্ত্রে পরিবর্তন করে ফেলেছিল। উমাইয়া, আব্বাসীয় এবং ওসমানি শাসকরা শুধু ইসলামের নাম ব্যবহার করত কিন্তু তার মধ্যে ইসলামী সভ্যতার কোন নাম গন্ধ ছিল না।

ইমাম হুসাইন (আ.) এই সকল মিথ্যা সভ্যতাকে উপড়ে ফেলে সঠিক ইসলামী সভ্যতা গঠন করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তারা তা করতে না দিয়ে ইমাম হুসাইনকে (আ.) কারবালার ময়দানে নির্মমভাবে হত্যা করে।

তারা একে একে সকল ইমামগণকে মাহদী করে এবং তাদের বানোয়াট সভ্যতাকে সঠিক ইসলামী সভ্যতার নামে চালানোর চেষ্টা করে।

আর এই মিথ্যা সভ্যতাকে সরিয়ে ফেলার জন্য ইমাম হুসাইন(আ.) বিপ্লব করেছিলেন এবং তার রক্তের মাধ্যমে সঠিক ইসলামকে সবার সামনে জীবন্ত করেছিলেন।

খোদাপ্রেম, ইমামের আনুগত্য, আন্তরিকতা, মানবতা, নৈতিকতা, সাম্য ও ভ্রাতৃত্ব, সৎ-কাজের আদেশ, অসৎ কাজে নিষেধ, আত্মত্যাগ,মুক্তিকামীতা, দায়িত্বশীলতা, আল্লাহর ওপর নির্ভরতা, সময়োচিত পদক্ষেপ বা সুযোগের সর্বোত্তম ব্যবহারের মত বিষয়গুলো কারবালার কালজয়ী বিপ্লবে প্রবাদতুল্য আদর্শ বা শিক্ষা হিসেবে ফুটে উঠেছে।

কারবালার কালজয়ী মহা-বিপ্লব নানা শিক্ষার এক বিশাল সূতিকাগার ও মানুষ হিসেবে তথা খোদার প্রতিনিধি বা শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি  (আশরাফুল মাখলুকাত) হিসেবে নিজেকে পরিপূর্ণভাবে বিকশিত করার শিক্ষা লাভের এক অনন্য বিশ্ববিদ্যালয়। সুখে ও দুঃখে সব সময় মহান আল্লাহর প্রতি সন্তুষ্ট থাকা কারবালা বিপ্লবের মহানায়কদের রেখে যাওয়া একটি বড় শিক্ষা।
captcha