বার্তা সংস্থা ইকনা: এই মুসলিম শিক্ষার্থী গত বুধবার (১৫ই নভেম্বর) তার হিজাব কেড়ে নেওয়ার ঘটনাটি সামাজিক নেটওয়ার্কে শেয়ার করে। তিনি সামাজিক নেটওয়ার্কে লিখেছেন: আমি আমার শিক্ষিকাকে ভালবাসতাম এবং তাকে যথেষ্ট শ্রদ্ধা করতাম। অথচ তিনি আমার মাথা থেকে আমার স্কার্ফ কেড়ে নিয়েছেন।
ভার্জিনিয়ার ফেয়ারফ্যাক্স মিনি টাউনের এই বিবৃতিতে এই ঘটনাটিকে অগ্রহণীয় এবং অনুপযুক্ত অভিহিত করে ঘোষণা করেছে: অতি গুরুত্বের সাথে এই কাজের মোকাবেলা করা হবে এবং প্রাথমিক পর্যবেক্ষণের পর উক্ত শিক্ষিকাকে বহিষ্কার করা হবে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মুসলিম নাগরিক অধিকার সবচেয়ে বৃহত্তম সংস্থা আমেরিকান ইসলামিক রিলেশন্স কাউন্সিল এই অঞ্চলের স্কুল কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানিয়ে ঘোষণা করেছে: ধর্ম অথবা নিজেদের বিশ্বাসের জন্য কোন শিক্ষার্থীর উপর হামলা চালানো ঠিক নয়। শিক্ষকদের উচিত শিক্ষার্থীদের সমর্থন করা। যেকোনো কারণে তাদের বিরক্ত অথবা ভয় দেখানো ঠিক নয়।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে স্কুল সংস্থা এক প্রতিবেদনে প্রায় সময়ে হিজাবের কারণে শিক্ষকদের হাতে ছাত্রীদের লাঞ্ছিত হতে হয় বলে জানিয়েছে। গত সপ্তাহে টেনেসি রাজ্যের ন্যাশভিল শহরের একটি স্কুলের শিক্ষিকা অনুরূপ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে জানা গেছে।
এই শিক্ষিকাকে গত সপ্তাহে সাসপেন্ড করা হয়েছে। গত মাসে নিউইয়র্কের একটি স্কুলে শিক্ষক শাসনের অজুহাতে দ্বিতীয় শ্রেণীর এক ছাত্রী হিজাব ছিঁড়ে ফেলে। ধর্মের প্রতি ঘৃণা ও বিদ্বেষের কারণে উক্ত শিক্ষককে অভিযুক্ত করা হয়েছে।