IQNA

পদত্যাগপত্র প্রত্যাহার করলেন লেবাননের প্রধানমন্ত্রী

4:53 - December 06, 2017
সংবাদ: 2604489
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: লেবাননের প্রধানমন্ত্রী সাদ হারিরি আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগপত্র প্রত্যাহার করেছেন। লেবাননের মন্ত্রিসভা খবরটি নিশ্চিত করেছে। পদত্যাগপত্র প্রত্যাহার করায় মন্ত্রিসভার সদস্যরা প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান।

পদত্যাগপত্র প্রত্যাহার করলেন লেবাননের প্রধানমন্ত্রী


বার্তা সংস্থা ইকনা: এর আগে গত ৪ নভেম্বর সৌদি আরবে গিয়ে সাদ হারিরি আকস্মিকভাবে পদত্যাগের গোষণা দিয়েছিলেন এবং তার এক মাস পরে তিনি পদত্যাগপত্র আনুষ্ঠানিকভাবে প্রত্যাহার করলেন। প্রতিদ্বন্দ্বী রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে একটি সমঝোতায় পৌঁছানোর পর তিনি পদত্যাগপত্র প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন। এর আগে মন্ত্রিসভার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

এ সম্পর্কে লেবাননের মন্ত্রিসভা থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সমস্ত রাজনৈতিক দল সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, লেবাননের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্কের স্বার্থে যেকোনো ধরনের দ্বন্দ্ব-সংঘাত, যুদ্ধ অথবা আরব দেশগুলোর অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করা থেকে তারা নিজেদেরকে দূরে রাখবে।

পদত্যাগের সময় হারিরি অভিযোগ করেছিলেন, লেবাননের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হিজবুল্লাহ ও ইরান আরব দেশগুলোর অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করছে। তবে হিজবুল্লাহ ও ইরান এ অভিযোগ সম্পূর্ণভাবে নাকচ করেছে।

‘ইসরাইলকে প্রতিহত করার পূর্ণ অধিকার লেবাননের রয়েছে’

লেবাননের প্রেসিডেন্ট মিশেল আউন বলেছেন, ‘সর্বশক্তি দিয়ে’ ইসরাইলের অব্যাহত আগ্রাসী পরিকল্পনা নস্যাত ও প্রতিহত করার পূর্ণ অধিকার লেবাননের রয়েছে। তিনি সোমবার তার অফিসিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে এ ঘোষণা দিয়েছেন।

মিশরের রাজধানী কায়রোয় আরব লীগের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের এক বৈঠক থেকে লেবাননের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হিজবুল্লাহকে ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবে চিহ্নিত করার একদিন পর প্রেসিডেন্ট আউন এ বক্তব্য দিলেন।

আরব লীগ এমন সময় ইসরাইল বিরোধী প্রতিরোধ আন্দোলন হিজবুল্লাহকে ‘সন্ত্রাসী’ বলল যখন লেবাননের পার্লামেন্টে দেশটির অত্যন্ত জনপ্রিয় এ সংগঠনের প্রতিনিধিত্ব রয়েছে। ১২৮ আসনবিশিষ্ট লেবাননের বর্তমান পার্লামেন্টে হিজবুল্লাহর সংসদ সদস্য রয়েছেন ১৪ জন। এ ছাড়া, সাদ হারিরির নেতৃত্বাধীন লেবাননের বর্তমান জোট সরকারের অন্যতম শরীক হিজবুল্লাহ।

ইহুদিবাদী ইসরাইলের আগ্রাসন প্রতিহত করার কাজে হিজবুল্লাহ সব সময় লেবাননের সেনাবাহিনীকে সহযোগিতা করে এসেছে। ২০০০ সালে দক্ষিণ লেবানন থেকে ইসরাইলি সেনাদের বিতাড়নের কাজে হিজবুল্লাহ প্রধান ভূমিকা পালন করে।

এর আগে সোমবার বৈরুতে আরব লীগের মহাসচিব আহমাদ আবুল-গেইতের সঙ্গে সাক্ষাতে লেবাননের প্রেসিডেন্ট কোনো কোনো আরব দেশের পক্ষ থেকে তার দেশে সংঘাত বাধানোর প্রচেষ্টার সমালোচনা করেন।

আরব লীগের পক্ষ থেকে হিজবুল্লাহকে ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবে অভিহিত করার পর আবুল-গেইত বিষয়টি নিয়ে লেবাননের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনার জন্য সোমবার বৈরুত সফরে যান।

তার সঙ্গে সাক্ষাতে হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে আরব লীগের অবস্থানের প্রতিক্রিয়া জানিয়ে প্রেসিডেন্ট আউন বলেন, ‘লেবানন কখনো অন্য কোনো দেশের বিরুদ্ধে আগ্রাসন চালায়নি কাজেই আরব দেশগুলোর সংঘাতের জন্য লেবানন মূল্য দেবে না।’

১৯৬৭ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত লেবানন বারবার ইসরাইলি আগ্রাসনের শিকার হয়েছে- উল্লেখ করে আউন বলেন, ইহুদিবাদী ইসরাইলের আগ্রাসন ও ষড়যন্ত্র নস্যাত করার অধিকার লেবাননের রয়েছে।

captcha