IQNA

ইমাম হাসান আসকারীর (আ.) কিছু গুরুত্বপূর্ণ নসিহত

11:32 - September 13, 2018
সংবাদ: 2606705
রাসূলের (সা.) ওফাতের পর মানুষের হেদায়েত দিকনির্দেশনার গুরুদায়িত্ব মাসুম ইমামগণের (আ.) উপর অর্পিত হয়। এ ইমামতিধারার একাদশতম ইমাম হলেন ইমাম হাসান আসকারী (আ.)। যিনি দ্বাদ্বশতম ইমাম তথা ইমাম মাহদীর (আ.) শ্রদ্ধেয় বাবা।

ইমাম হাসান আসকারীর (আ.) কিছু গুরুত্বপূর্ণ নসিহত


বার্তা সংস্থা ইকনা'র রিপোর্ট: ইমাম হাসান আসকারীর (আ.) স্বল্পকালীন অথচ ফজিলতপূর্ণ জীবন তিনটি পর্যায়ে বিভক্ত। তিনি জীবনের প্রথম ১৩ বছর মদীনায় অতিবাহিত করেন। অত:পর সেখান থেকে তার বাবা ইমাম হাদীর (আ.) সাথে ইরাকেরে সামেরাতে হিজরত করেন। সেখানে তিনি ইমামতির দায়িত্ব গ্রহণের পূর্বে ১০ বছর এবং ইমামতের দায়িত্বে সমাসীন হওয়ার পর ৬ বছর অতিবাহিত করেন। এবং সেখানেই তিনি শাহাদত বরণ করেন ও এ শহরের তার পবিত্র মাজার অবস্থিত।

ইমাম হাসান আসকারী (আ.) তার যুগের শিয়া মাযহাবের সবচেয়ে খ্যাতনামা মনীষী ইবনে বাবুয়েহ'র (রহ.) প্রতি লিখিত এক পত্রে কিছু গুরুত্বপূর্ণ নসিহত করেছেন; যা আমাদের জন্য শিক্ষণীয়।

তিনি এ নসিহতে উল্লেখ করেন যে, অন্যদের ভুল-ত্রুটিকে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবে। ছোট-খাট ভুলের জন্য কাউকে কঠোর শাস্তি দিবে না। বরং সব সময় অন্যের প্রতি সদয় ও ক্ষমাশীল থাকবে; তাহলে হয়তো আল্লাহও তোমাদের ক্ষমা করবেন।

তিনি আমাদের প্রতি আরও নসিহত করেছেন যে, আত্মীয় ও আপনজনদের সাথে সব সময় সুসম্পর্ক বজায় রাখবে। কখনও আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করবে না।

captcha