IQNA

ফিলিস্তিনি শিশুদের ওপর অস্ত্র পরীক্ষা করছে ইসরাইল

2:46 - February 27, 2019
সংবাদ: 2608024
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : কারাবন্দি ফিলিস্তিনিদের ওপর প্রতিদিন নতুন নতুন ওষুধের পরীক্ষা চালাচ্ছে ইসরাইলের বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানি। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ই ফার্মাসিউটিক্যালস কোম্পানিগুলোকে এ অনুমতি দিয়েছে বলে দাবি করেছেন ইসরাইলি এক অধ্যাপক।

বার্তা সংস্থা ইকনা'র রিপোর্ট: মূলত তার গবেষণাতেই আরব ও ফিলিস্তিনি কারাবন্দিদের ওপর ওষুধ পরীক্ষার এ চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। খবর ফিলিস্তিন ক্রোনিক্যাল ও শেহাব নিউজের।

হিব্রু বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক নাদেরা শালহাব-কেভোরকিয়ান এ দাবি করেছেন। তিনি আরও বলেছেন, ইসরাইলের সামরিক সংস্থাগুলোও ফিলিস্তিনি শিশুদের ওপর অস্ত্র পরীক্ষা করছে। অধিকৃত জেরুজালেমে এ পরীক্ষা চালানো হচ্ছে।

গত সপ্তাহে নিউইয়কের্র কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে অধ্যাপক নাদেরা শালহাব-কেভোরকিয়ান বলেন, হিব্রু বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণা প্রকল্প পরিচালনার সময় তিনি এসব তথ্য পেয়েছেন।

তিনি বলেন, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বিভিন্ন নিরাপত্তা সংস্থা তাদের নতুন উদ্ভাবিত পণ্য এবং অস্ত্র দীর্ঘমেয়াদে ফিলিস্তিনিদের ওপর নিপীড়নের জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে।

গত সপ্তাহে ফারেস বারুদ নামের এক ফিলিস্তিনি কারাবন্দির মরদেহ হস্তান্তর করতে অস্বীকৃতি জানায় ইসরাইল। কারাগারে বেশ কিছুদিন ধরে একাধিক রোগে ভুগছিলেন তিনি। ফারেসের পরিবারের শঙ্কা, তার শরীরে এ ধরনের ওষুধের পরীক্ষা চালানো হয়ে থাকতে পারে। ফরেনসিক পরীক্ষায় এটা বেরিয়ে আসবে; সেই ভয়ে তার মরদেহ হস্তান্তর করেনি ইসরাইল।

এর আগে কারাবন্দিদের ওপর ওষুধের পরীক্ষা চালানো নিয়ে ১৯৯৭ সালের জুলাইয়ে ইসরাইলি দৈনিক ইয়েদিওথ আহরোনোথ একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরাইলের স্বাস্থ্যবিষয়ক সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যান ডালিয়া আইজিক স্বীকার করেন, কারাবন্দিদের ওপর নতুন ওষুধের পরীক্ষা চালানোর জন্য দেশটির ফার্মাসিউটিক্যালস কোম্পানিগুলোকে অনুমতি দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

সেই সময় তিনি বলেন, ইতিমধ্যে পাঁচ হাজার বন্দির ওপর এ পরীক্ষা চালানো হয়েছে। গত বছরের আগস্টে বেলজিয়ামের ট্রেড ইউনিয়ন অ্যাকডের সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক রবরেচট ভ্যান্ডারবিকেন বলেন, গাজা উপত্যকার মানুষ না খেয়ে, বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মরছেন। তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেন, উপত্যকা থেকে ফিলিস্তিনি শিশুরা নিখোঁজ হচ্ছে। পরে তাদের মরদেহ পাওয়া গেলেও শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রতঙ্গ পাওয়া যাচ্ছে না।

captcha