IQNA

নিউজিল্যান্ডে আধা-স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র সংগ্রহ করছে সরকার

22:05 - June 20, 2019
সংবাদ: 2608761
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ক্রাইস্টচার্চ মসজিদে হামলায় যে ধরনের অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে, সেই ধরনের আধা-স্বয়ংক্রিয় বিক্রীত অস্ত্র লোকজনের কাছ থেকে কিনে নিচ্ছে নিউজিল্যান্ডের সরকার। এই কর্মসূচির আওতায় এর আগে বিক্রীত অস্ত্র ফেরত নেওয়া হয়েছে।

বার্তা সংস্থা ইকনা: গত ১৫ মার্চ মসজিদে ওই বর্বর হামলার ঘটনায় ৫১ জন নিহত হন। তাঁর মধ্যে কয়েকজন বাংলাদেশিও ছিলেন। এ নির্মম ঘটনার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্ন প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেন, নিউজিল্যান্ডের অস্ত্র আইন কঠোর করা হবে এবং তাঁর সরকার মাত্র তিন মাসের মধ্যে তা পরিবর্তন করেছে।

দেশটির পুলিশবিষয়কমন্ত্রী স্টুয়ার্ট নাশ বলেন, ‘বিক্রীত অস্ত্র ফের ক্রয়ের প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে, দেশের জনগণের জন্য অধিক ঝুঁকিপূর্ণ এমন যেসব অস্ত্র এরই মধ্যে বিক্রি হয়েছে, সেসব অস্ত্র উঠিয়ে নেওয়া। আল-নুর ও লিনউড মসজিদে হামলায় প্রাণহানির ঘটনার পর অস্ত্র অপসারণের এমন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।’

এ হত্যাকাণ্ড চালানোর ঘটনায় অভিযুক্ত অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক ব্রেন্টন টারান্টের বিরুদ্ধে ক্রাইস্টচার্চের দুটি মসজিদে হামলায় পাঁচটি অস্ত্র ব্যবহারের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বলে বার্তা সংস্থা এএফপির এক খবরে উল্লেখ করা হয়েছে। এসব অস্ত্রের মধ্যে সামরিক ধাঁচের দুটি আধা-স্বয়ংক্রিয় রাইফেল (এমএসএসএ) রয়েছে।

আধুনিক নিউজিল্যান্ডের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ হত্যাযজ্ঞের ঘটনার পর দেশটির আইনপ্রণেতারা এমএসএসএ অস্ত্রের ব্যবহার নিষিদ্ধ করতে ভোট দেন। এতে দেখা যায়, অস্ত্রটি নিষিদ্ধের পক্ষে ১১৯ এবং বিপক্ষে মাত্র এক ভোট পড়ে।

অস্ত্রের লাইসেন্স রয়েছে এমন মালিকদের অস্ত্র জমা দেওয়ার জন্য ছয় মাস সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। এই অস্ত্র জমাদান কর্মসূচির আওতায় এসব অস্ত্র এখন অবৈধ বলে গণ্য। বেঁধে দেওয়া এ সময়ের মধ্যে যারা অস্ত্র জমা দেবে, তাদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হবে না।

সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার এই মেয়াদ শেষ হওয়ার পর কারো কাছে এ ধরনের অস্ত্র পাওয়া গেলে তাঁকে সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের সাজা ভোগ করতে হবে।  iqna

captcha