বার্তা সংস্থা ইকনা'র রিপোর্ট: এদিকে রয়াল ক্যাথিড্রাল অ্যাবে ৯৬০ খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত (আধুনিক প্রতিষ্ঠা ১০৬৬ সালে)। ঐতিহাসিক এই গির্জা প্রাঙ্গণে ঘুমিয়ে আছেন ব্রিটেনের ১৭ জন রাজা। প্যাডি অ্যাশডন ‘দ্য লিবারেল ডেমোক্রেটস’-এর নেতা ছিলেন। তিনি ২২ ডিসেম্বর ২০১৮ সালে মারা যান। কর্মজীবনে তিনি বসনিয়ার মুসলিমদের পক্ষে জোরালো ভূমিকা রাখেন। বিশেষত সার্ব বাহিনী কর্তৃক মুসলিম নিধনের বিপক্ষে জনমত গড়ে তুলতে তিনি গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক অবদান রাখেন। তাঁর কর্মনীতি ও মুসলিমদের জন্য তাঁর ভালোবাসার প্রতি সম্মান জানাতে তাঁর স্মরণসভায় কোরআন তিলাওয়াতের ব্যবস্থা রাখা হয়।
এ ব্যাপারে অ্যাশডনের অবদান স্মরণ করে মুসলিম আইনজীবী ইয়াসির হুসাইন বলেন, ‘তাঁর ভূমিকা দেখে মনে হতো তিনি গোপনে মুসলিম হয়েছেন। তাঁর স্মরণ অনুষ্ঠানে কোরআন তিলাওয়াতের ঘটনা অভিনব উল্লেখ করে এই আইনজীবী বলেন, ‘সাধারণত কোনো অমুসলিমের স্মরণে বা তাঁর স্মৃতিসৌধে ইসলামী প্রার্থনা ও কোরআনের তিলাওয়াত হয় না। এটি একটি বিরল ঘটনা।’
তবে রয়াল ক্যাথিড্রালে কোরআন তিলাওয়াতের ঘটনায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে ব্রিটেনের খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের ভেতর। অনেকেই এই ঘটনার সমালোচনা করছে।
এদিকে গির্জা কর্তৃপক্ষ সমালোচনার উত্তরে বলেছে, রয়াল ক্যাথিড্রাল অ্যাবেতে অন্য ধর্মের গ্রন্থ পাঠের ঘটনা এই প্রথম নয়। আগে সেখানে অনেক আন্তর্ধর্মীয় আলোচনাসভা হয়েছে এবং তাতে মুসলিম, হিন্দুসহ অন্য ধর্মাবলম্বীরা অংশগ্রহণ করেছেন। রিভেল প্রিস্ট