বার্তা সংস্থা ইকনা'র রিপোর্ট: পাকিস্তানের ওই ইশতেহারে বলা হয়, বাক স্বাধীনতার কথা বলে দেড়শ' কোটি মুসলমানের বিশ্বাস ও পবিত্রতার অবমাননা করা গ্রহণযোগ্য নয়। কুরআন অবমাননার মতো তৎপরতা সহিংসতা ও উগ্রপন্থা উসকে দিতে পারে এ ধরনের অন্যায় তৎপরতা বন্ধে পদক্ষেপ নিতেও নরওয়ের সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
ইশতেহারটি পড়ে শোনানোর পর মোহাম্মদ আলী খান বলেন, ধর্মীয় পবিত্রতার অবমাননা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মতোই বিশৃঙ্খলা ও অরাজকতা সৃষ্টি করে এবং মুসলমানদের অনুভূতিতে আঘাত হানে।
মোহাম্মাদ আলী খান পবিত্র কুরআনকে রক্ষা করার জন্য ওমর মুজাহিদের ব্যক্তিগত পদক্ষেপের প্রশংসা করে বলেন: মুসলমানদের জন্য তিনি উত্তম কাজ করেছেন।
উল্লেখ্য যে, নরওয়ের ‘ইসলামবিদ্বেষী’ সংগঠন ‘স্টপ ইসলামাইজেশন অব নরওয়ে’ (এসআইএন) ক্রিসচিয়ানসান্ড শহরে ইসলামবিরোধী বিক্ষোভের আয়োজন করে। এতে কুরআন অবমাননা ও তাতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। পাকিস্তানি যুবক ওমর মুজাহিদ এ ঘটনার তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ করেন এবং তাতে বাধা দেন।
ঘটনায় বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তানসহ মুসলিম বিশ্বে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ হয়। তারা এ ঘটনার উপযুক্ত বিচার ও আটক মুসলিম যুবকের মুক্তি দাবি করে এবং এ ঘটনার যেন পুনরাবৃত্তি না ঘটে সে ব্যাপারে নরওয়ে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। iqna