বার্তা সংস্থা ইকনা'র রিপোর্ট: শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি চাই না যে আমাদের মতো কেউ নিজের স্বজন হারানোর কষ্ট সহ্য করে (ন্যায়বিচারের জন্য) বছরের পর বছর অপেক্ষা করুক। আমাদের সংবিধান অনুযায়ী সবাই ন্যায়বিচার ও আইনের কাছে সমান আশ্রয় লাভ করুক।’
এছাড়াও আদালতে ইংরেজির পাশাপাশি বাংলায়ও রায় লেখার বিষয়টি বিবেচনায় রাখার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
সম্মেলনে সভাপতির বক্তব্যে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন প্রস্তাব করেন, দেশে বঙ্গবন্ধু আইন বিশ্ববিদ্যালয় হওয়া প্রয়োজন। সেটা হবে একটি বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয়। এ ধরনের বিশ্ববিদ্যালয় হলে সেখান থেকে দক্ষ বিচারক পাওয়া যাবে।
এ প্রসঙ্গে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের মাননীয় প্রধান বিচারপতি একটি আইন বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা বলেছেন। আসলে এই ধারণাটা আমাদের কখনো চিন্তায় আসেনি বা কেউ বলেনওনি। আমি তো আর আইনও পড়িনি নি। আমি নিরেট বাংলার ছাত্রী, একেবারে সাদামাটা বাংলার ছাত্রী। আমি মনে করি যে, এটা অত্যন্ত উত্তম একটা প্রস্তাব, এটা হওয়া একান্তভাবে প্রয়োজন। প্রস্তাব নিয়ে প্রধান বিচারপতির সঙ্গে আলাপ করে খুব দ্রুত যাতে হয়, সেই ব্যবস্থা করে দেব। পৃথিবীর সব দেশে আছে, আমাদের দেশে কেন থাকবে না।’
জাতীয় বিচার সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। সম্মেলনে আরো বক্তব্য রাখেন আইন মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো: গোলাম সরোয়ার এবং সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. আলী আকবর।
সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগ এবং সারা দেশের নিম্ন আদালতের বিচারকগণ এ সম্মেলনে অংশ নেন। দিনব্যাপী এই সম্মেলনে বিচার সংক্রান্ত কাজ ডিজিটালকরণ, কার্যকর আদালত প্রশাসন পরিচালনাসহ বিভিন্ন প্রাসঙ্গিক বিষয় নিয়ে আলোচনা চলে।
সূত্র: parstoday