বার্তা সংস্থা ইকনা'র রিপোর্ট: সোমবার নিম্নকক্ষে বিলটি পেশ হওয়ার পরই প্রতিবাদ করে কংগ্রেস। বিলটি নিয়ে প্রায় সাত ঘণ্টা ধরে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়।
পরে ভোটাভুটিতে সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে বিলটি পাস হয়। বিলটির পক্ষে ভোট পড়ে ৩১১টি। অপর দিকে বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন ৮০ জন। লোকসভার পর এবার রাজ্যসভায় বিলটি পাস হলে তা আইনে পরিণত হবে।
নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল-২০১৯'এ বলা হয়েছে, বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে ভারতে যাওয়া হিন্দু, খ্রিস্টান, শিখ, জৈন, বৌদ্ধ ও পার্সি সম্প্রদায়ের শরণার্থীদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। তবে সেখানে মুসলিমদের বিষয়ে কিছু বলা হয়নি।
এর আগে ১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইনে উল্লেখ ছিল, কমপক্ষে ১১ বছর ভারতে থাকলেই কেবল কোনো ব্যক্তিকে নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। নতুন বিলে ওই সময় কমিয়ে ছয় বছর করা হয়েছে।
এদিকে বিলটি নিয়ে বিরোধীদের অভিযোগ, সেটি ভারতের সংবিধানের ধর্ম নিরপেক্ষতাকে লঙ্ঘন করে। এছাড়া সেখানে ইচ্ছাকৃতভাবে শুধু অমুসলিমদের নাগরিকত্বের বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে। তবে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছেন, এর মাধ্যমে সংবিধানের কোনো অবমাননা হবে না, বরং শরণার্থীদের মুক্তি দেওয়ার একমাত্র রাস্তা হলো এই বিল।
সোমবার সকাল থেকেই বিলটির প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে ওঠে বাংলাদেশ সংলগ্ন ভারতীয় রাজ্য আসাম ও ত্রিপুরা। এ বিল আগেও একবার পার্লামেন্টে পেশ করা হয়। তবে সে সময় আসামসহ উত্তর-পূর্বাঞ্চলজুড়ে বিক্ষোভের মুখে সেটি পাস করানো যায়নি। iqna