IQNA

সর্বোচ্চ জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের ঘোষণা:

উপযুক্ত সময় ও স্থানে কঠোর প্রতিশোধ নেয়া হবে

18:12 - January 05, 2020
সংবাদ: 2609975
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মার্কিন হামলায় ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর কুদস্‌ ব্রিগেডের কমান্ডার জেনারেল কাসেম সোলাইমানি শহীদ হওয়ার পর ইরানের সর্বোচ্চ জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ এ ঘটনার বিভিন্ন দিক খতিয়ে দেখা এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার বিষয়ে জরুরি বৈঠক করেছে।

বার্তা সংস্থা ইকনা'র রিপোর্ট: পরিষদের বৈঠক শেষে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, "আমেরিকার এটা জেনে রাখা উচিত এতবড় অপরাধযজ্ঞ চালিয়ে পশ্চিম এশিয়ায় তারা সবচেয়ে বড় কৌশলগত ভুল করেছে এবং এতসহজে তারা এই ভুলের পরিণতি থেকে রেহাই পাবে না।" উপযুক্ত সময়ে ও উপযুক্ত স্থানে আমেরিকার বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিশোধ নেয়া হবে জানিয়ে ইরানের সর্বোচ্চ জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, "সোলাইমানিকে শহীদ করার মাধ্যমে আইএস সন্ত্রাসীদের পতন ও তাদের শীর্ষ নেতাদের নিহত হওয়ার প্রতিশোধ নেয়া হয়েছে যারা কিনা ইরাক ও সিরিয়ায় মার্কিন হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হত।"

গত শুক্রবার ইরাকের রাজধানী বাগদাদ বিমানবন্দরের কাছে মার্কিন সন্ত্রাসী হামলায় ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর কুদস্‌ ব্রিগেডের কমান্ডার জেনারেল কাসেম সোলাইমানি শহীদ হন। এ ঘটনা থেকে প্রমাণিত হয় আমেরিকা সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কোনো যুদ্ধ করছে না বরং সন্ত্রাসীদের পৃষ্ঠপোষকতা করছে এবং এ অঞ্চলে নিরাপত্তাহীনতার প্রধান কারণ তারাই।

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী এক সমাবেশে ইরাকের সাম্প্রতিক গোলযোগে ইরানের হাত থাকার মার্কিন অভিযোগ ও ইরানের বিরুদ্ধে ওয়াশিংটনের হুমকির কথা উল্লেখ করে বলেছেন, "সবারই এটা জেনে রাখা উচিত ইরান যুদ্ধের পথে হাঁটছে না কিন্তু কেউ যদি আমাদের স্বার্থ, সম্মান ও উন্নতির পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায় তাহলে কোনো বিচার বিবেচনা ছাড়াই কঠোরভাবে তাদের মোকাবেলা করা হবে।"

প্রকৃতপক্ষে, ইরান কখনোই এ অঞ্চলে যুদ্ধের সূচনা করেনি কিন্তু নিজের নিরাপত্তা রক্ষা প্রশ্নে কোনো ছাড় দেবে না। গত বছর হরমুজ প্রণালীতে ইরানের আকাশসীমা লঙ্ঘনের দায়ে মার্কিন অত্যাধুনিক ড্রোন ভূপাতিত ঘটনা এর প্রমাণ। আমেরিকা গত কয়েক বছরে নানা অজুহাতে এ অঞ্চলের দেশগুলোতে হস্তক্ষেপ করছে যাতে প্রয়োজনে সামরিক হামলার পথ সুগম করা যায়। এভাবে আমেরিকা নানা অজুহাতে প্রায়ই ইরাক ও সিরিয়ায় হামলা চালাচ্ছে। একইভাবে নিজের অবৈধ লক্ষ্য অর্জনের জন্য আমেরিকা ইরানভীতি ছড়ানোরও চেষ্টা করছে।

যাইহোক, বর্তমানে আমেরিকার প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে, এ অঞ্চলের প্রতিরোধ শক্তিগুলোর ওপর আঘাত হানা। এ অবস্থায় জেনারেল কাসেম সোলাইমানি শহীদ হওয়ার পর ইরানের সর্বোচ্চ জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ জরুরি বৈঠককে গুরুত্বপূর্ণ বলে পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন।  iqna

captcha