বার্তা সংস্থা ইকনা'র রিপোর্ট:সোমবার লাখ লাখ শোকার্ত মানুষ রাস্তায় নেমে আসলে তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের সড়ক স্তব্ধ হয়ে যায়। পরে শোকমিছিল আজাদী চত্বরের দিকে চলে যায়।
রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম বলছে, ইরানের রাজধানীর সড়কগুলোতে মানুষের ঢল নেমেছে। ইসলামিক প্রজাতন্ত্রটির প্রতিষ্ঠাতা আয়াতুল্লাহ রুহুল্লাহ খোমেনির পরে এমন মানুষের ভিড় আর কারো জানাজায় দেখা যায়নি।
লাউডস্পিকারে যখন দোয়া-কালাম ভেসে আসছিল, তখন এক বৃদ্ধ লোক বলছিলেন, বহু দেশ তার অস্তিত্বের কাছে ঋণী। তিনি না থাকলে সিরিয়া, ইরান ও ইরাকের পতন ঘটতো।
প্ল্যাকার্ড হাতে আরেক লোককে সামনে এগিয়ে যেতে দেখা গেছে। তাতে লেখা রয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনার কথা যে জিহ্বা বলছে, সেটা নীরব থাকুক।
মাতমরত নারীরা বলেন, কোনো মধ্যস্থতা না, কোনো আত্মসমর্পণ না। এসময় উর্দিপরিহিত নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য ও গোয়েন্দারা ভিড়ের মধ্য দিয়ে পথ করে সামনে এগিয়ে যাচ্ছিলেন।
আল-কুদস ফোর্সের এই কমান্ডারের মেয়ে জয়নাব সোলাইমানি বলেন, আমেরিকা ও ইহুদিবাদীদের জানা উচিত যে আমার বাবার শাহাদত নতুন জাগরণের নেতৃত্ব দেবে— সম্মুখের প্রতিরোধে। তাদের জন্য নতুন অন্ধকারময় দিন নেমে আসবে। তাদের বাড়িঘর মাটিতে মিশে যাবে।
‘উন্মুক্ত ট্রাম্প চিন্তাও করতে পারবেন না যে আমার বাবার শাহাদতে সবকিছু শেষ হয়েছে,’ বললেন সোলাইমানি কন্যা।
সূত্র: jugantor