IQNA

সর্বোচ্চ নেতা;

যুদ্ধ থেকে দূরে থাকতে এবং হুমকির অবসান ঘটাতে শক্তিশালী হতে হবে

19:32 - February 08, 2020
সংবাদ: 2610191
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ি বলেছেন, যুদ্ধ থেকে দূরে থাকতে এবং হুমকির অবসান ঘটাতে সব ক্ষেত্রে বিশেষকরে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে শক্তিশালী হতে হবে। তিনি আজ (শনিবার) সকালে সেনাবাহিনীর বিমান ইউনিটের কমান্ডার ও সদস্যদের এক সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।

পার্সটুডের উদ্ধৃতি দিয়ে বার্তা সংস্থা ইকনা'র রিপোর্ট: সর্বোচ্চ নেতা আরও বলেছেন, 'আমরা দুর্বল থাকলে শত্রুরা আমাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে উৎসাহিত হবে। আমরা কোনো দেশ ও জাতির বিরুদ্ধে হুমকি হতে চাই না বরং আমাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে নিজ দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং হুমকি মোকাবেলা করা।'

আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ি বলেন, আমেরিকার সাবেক প্রেসিডেন্টরা তাদের শয়তানি লক্ষ্য-উদ্দেশ্যগুলো বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে রাখঢাক করলেও এখন আর কোনো রাখঢাক করছে না। ইরানের শত্রুদের এই ভ্রান্ত পন্থা নিশ্চিতভাবে ব্যর্থ হবে।

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা মার্কিন নিষেধাজ্ঞার প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন, নিষেধাজ্ঞা হচ্ছে আমেরিকার অপরাধমূলক তৎপরতার অংশ। তাদের হুমকি-ধমকিকে সুযোগে পরিণত করা হবে। এই অন্যায় নিষেধাজ্ঞা মোকাবেলা করে জ্বালানি তেলের ওপর নির্ভরতা থেকে দেশকে মুক্তি দেওয়াসহ বেশিরভাগ সমস্যার সমাধান করা সম্ভব।

তিনি বলেন, মার্কিন শাসক গোষ্ঠীর কোনো কোনো বুদ্ধিমান ব্যক্তি এই বিষয়টি উপলব্ধি করতে পেরেছেন। তারা বলছেন ইরানকে জ্বালানি তেল ছাড়াই অর্থনীতি সচল রাখার মতো সক্ষমতা অর্জন করতে দেওয়া যাবে না। তাদের মতে, এমন একটি রাস্তা খোলা রাখতে হবে যাতে ইরানের অর্থনীতি তেলের ওপর নির্ভরতা থেকে পুরোপুরি সরে না আসে।

তিনি বিমান বাহিনীর কমান্ডার ও সদস্যদের সমাবেশে বলেন, বিপ্লবের আগে তাগুতি রাজতান্ত্রিক সরকারের খুব কাছের বাহিনী হিসেবে পরিচিত ছিল বিমান বাহিনী। কিন্তু এই বাহিনীই ইসলামি বিপ্লবের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করলে রাজতান্ত্রিক সরকার বিস্মিত হয়ে যায়। কারণ তাদের কাছে এটা ছিল অপ্রত্যাশিত।

তিনি আরও বলেন, এই ঘটনার একটি শিক্ষা হলো, তাগুতি শক্তি এমন জায়গা থেকে আঘাতপ্রাপ্ত হয় যা তাদের কাছে অকল্পনীয়।

১৯৭৯ সালে বিপ্লবের চূড়ান্ত সাফল্যের কয়েক দিন আগে অর্থাৎ ৮ ফেব্রুয়ারি বিমান বাহিনীর বিভিন্ন পর্যায়ের কমান্ডার, পাইলট ও সদস্যরা ইসলামি বিপ্লবের স্থপতি ইমাম খোমেনি (রহ.)'র সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তাঁর সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করেন। এরপর থেকেই প্রতি বছর এ দিনে বিমান বাহিনীর লোকজন সর্বোচ্চ নেতার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে আসছেন। iqna

captcha