ওই সংবাদ প্রকাশের পর সেনাবাহিনী জানায়, তাদের গোলাবর্ষণে ওই নারীরা নিহত হননি বা কোনও বেসামরিক ব্যক্তি আহত হয়নি এবং এ ঘটনার দায় আরাকান আর্মির (এএ) ওপর চাপায় মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। রাখাইনের স্বায়ত্ত্বশাসনের দাবিতে লড়াইরত এএ ওই ঘটনার দায় অস্বীকার করেছে এবং সেনাবাহিনীর ওপর দায় চাপিয়েছে। যে এলাকায় ওই ঘটনা ঘটেছে সেখানে সাংবাদিকদের প্রবেশের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
রাখাইনের উত্তরাঞ্চলে বুথিডং টাউনশিপের ভারপ্রাপ্ত স্টেশন প্রধান পুলিশ লেফটেন্যান্ট কিয়াও থু বলেছেন, রয়টার্স ও ওই আইনপ্রণেতার বিরুদ্ধে টেলিযোগাযোগ আইনের ৬৬ডি ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। ওই ধারা ব্যবহার করে সরকারের সমালোচকদের কারাগারে প্রেরণ করে থাকে মিয়ানমারের প্রশাসন এবং মামলার সর্বোচ্চ সাজা দুই বছরের কারাদণ্ড।
তিনি বলেন, পুলিশ এখনও মামলার বিষয়ে রয়টার্সের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি। তবে খুব শিগগিরই তারা যোগাযোগ করবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
কিয়াও থু বলেন, রয়টার্স নিউজ এজেন্সি কোথায় অবস্থিত, এটা কী ধরনের সংস্থা এবং এর রিপোর্টার ও সম্পাদক কেমন- তা জানার জন্য আমরা তাদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছি। এছাড়া বুথিডংয়ের আইনপ্রণেতা মং কিয়াও জ্যানের বিরুদ্ধে মামলার কার্যক্রম পরিচালনা করতে মিয়ানমারের জাতীয় পার্লামেন্টের স্পিকারের অনুমতি চাওয়া হয়েছে।
সূত্র:rtvonline