IQNA

করোনা কি মার্কিন জীবাণু অস্ত্র?

চীনে করোনায় মার্কিন মন্ত্রীর উল্লাস ও উহানে ইয়াংকিদের সেই সফর!

6:40 - March 14, 2020
সংবাদ: 2610409
তেহরান (ইকনা)- মার্কিন সেনারা চীনে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে থাকতে পারে বলে অভিযোগ করেছে বেইজিং।

চীনে করোনায় মার্কিন মন্ত্রীর উল্লাস ও উহানে ইয়াংকিদের সেই সফর!চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান বলেছেন, সম্ভবত মার্কিন সেনারা উহানে ওই ভাইরাস এনেছে। তিনি বলেন, মার্কিন সরকার করোনার ব্যাপারে স্বচ্ছতাহীন এবং এ বিষয়ে ওয়াশিংটনের কাছে বেইজিংয়ের একটি ব্যাখ্যা পাওনা রয়েছে। স্বচ্ছতার দাবি তুলে লি জিয়ান প্রশ্ন করেন: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কখন করোনার আক্রমণ শুরু হয়েছে, কতজন আক্রান্ত হয়েছে ও আক্রান্তরা কোন্ কোন্ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে?

এর আগেও চীনা সংবাদমাধ্যমগুলো উহানে করোনার আবির্ভাবকে সম্ভাব্য মার্কিন ষড়যন্ত্র বলে অভিযোগ করেছে।

করোনা ভাইরাস প্রথমে চীনের উহানে দেখা দেয় এবং এরপর চীনের নানা শহরে ও বিশ্বের নানা দেশে ছড়িয়ে পড়ে।

অনেকেই আশঙ্কা করছেন যে চীনের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির রকেট গতিকে থামিয়ে দেয়ার নানা মার্কিন প্রচেষ্টার একটি অংশ হতে পারে করোনার তথা জীবাণু অস্ত্রের হামলা! চীন যাতে বিশ্বের শীর্ষ অর্থনৈতিক শক্তি হতে না পারে সে জন্য দেশটির বিরুদ্ধে ট্রাম্পের বাণিজ্য যুদ্ধ নজিরবিহীন আগ্রাসী রূপ নিয়েছে।

করোনা মার্কিন ষড়যন্ত্রের ফল- এমন আশঙ্কা বাড়িয়ে দিয়ে মার্কিন বাণিজ্য-মন্ত্রী সম্প্রতি বলেছেন, করোনা চীনে ছড়িয়ে পড়ায় পুঁজি ও কর্মসংস্থান আমেরিকায় ফিরে আসবে! এই মন্তব্য মার্কিন নীতির প্রতি বিশ্বে ব্যাপক নিন্দা ও ক্ষোভ সঞ্চার করেছে।

রাশিয়ার পররাষ্ট্র সম্পর্ক পরিষদের বিশেষজ্ঞ ইউরি ববিলুভ বলেছেন, করোনা নামক নতুন ভাইরাসটিকে আমেরিকাই চীনের উহানে জন্ম দিয়েছে এবং চীনের নিরাপত্তায় ধস নামাতেই মার্কিনীরা উহানকে বেছে নেয়। চীনে নববর্ষ উৎসব শুরুর প্রাক্কালে মার্কিনীরা এ কাজ করায় কোটি কোটি চীনা নাগরিক দেশে ও বিদেশে ছুটি কাটাতে সফর করতে পারছে না ও অন্যান্য জাতির সংস্পর্শে আসতে পারছে না বলে তিনি স্মরণ করিয়ে দেন।

করোনা ভাইরাস বিশ্বের ১৩০টিরও বেশি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। করোনা তৈরি ও ছড়িয়ে দেয়ার নেপথ্যে মার্কিন সরকারের হাত থাকার নানা সাক্ষ্য প্রমাণ হয়ত আর গোপন থাকবে না। করোনা ভাইরাস জীবাণু অস্ত্র কিনা সে বিষয়টি পরীক্ষা করে দেখতে ইরানের সশস্ত্র বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ি। চীন ও ইতালির পর করোনায় আক্রান্ত হয়ে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মানুষ মারা গেছে ইরানে। চীনের নাগরিকদের সঙ্গে ইরানি নাগরিকদের ব্যাপক যোগাযোগ এর অন্যতম প্রধান কারণ। এ ছাড়াও ইরান-ইরাক যুদ্ধের সময় মার্কিন সরকারসহ পশ্চিমা সরকারগুলোর দেয়া রাসায়নিক অস্ত্রের ইরাকি হামলায় আহত ইরানিরাই বেশিরভাগ ক্ষেত্রে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন বলে কোনো কোনো সূত্র খবর দিয়েছে।
সূত্র: parstoday

captcha