IQNA

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা;

যতদ্রুত সম্ভব বেশী করে দরিদ্রদের সহায়তা প্রদান করতে হবে

16:55 - April 09, 2020
সংবাদ: 2610562
তেহরান (ইকনা)- ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসকে গোটা বিশ্ববাসীর জন্য ঐশী পরীক্ষা বলে অভিহিত করেছেন। পবিত্র শবে বরাত বা নিসফুশ শাবান(ইমাম মাহদি আ.-এর পবিত্র জন্মবার্ষিকী) উপলক্ষে আজ (বৃহস্পতিবার) জাতির উদ্দেশে দেয়া এক ভাষণে তিনি এ মন্তব্য করেন।

সর্বোচ্চ বলেন, এই মহামারী বিশ্বের দেশগুলোর সরকারগুলোর জন্য যেমন পরীক্ষা তেমনি এসব দেশের জনগণের জন্যও পরীক্ষা হিসেবে দেখা দিয়েছে। তিনি এ মহামারী মোকাবিলার কাজে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে অংশগ্রহণের আহ্বান জানান। আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী বলেন, ইরান করোনাভাইরাস মোকাবিলায় উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে। পার্সটুডে

এ সাফল্যে স্বাস্থ্যসেবা খাতে কর্মরতদের আত্মত্যাগের কথা গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন তিনি। সর্বোচ্চ নেতা বলেন, চিকিৎসাসেবার সঙ্গে জড়িতরা নিজেদের জীবন ও স্বাস্থ্যকে বিপদের মুখে ঠেলে দিয়ে যেভাবে করোনা আক্রান্ত রোগীদের সেবা দিয়েছেন তা অতুলনীয়। তাদের এ অবদানের কথা ইরানি জনগণ আজীবন স্মরণ রাখবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
করোনা মোকাবিলায় চিকিৎসা সেবায় জড়িতদের অবদান শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন সর্বোচ্চ নেতা

আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী করোনা আক্রান্ত পশ্চিমা দেশগুলোর সরকার ও জনগণের কিছু আচরণের কথা উল্লেখ করে বলেন, এক দেশের মাস্ক ও পিপিই’র চালান অন্য দেশের পক্ষ থেকে হাতিয়ে নেয়া, মাত্র এক ঘণ্টার মধ্যে সুপার মার্কেটগুলোর সব জিনিস খালে হয়ে যাওয়া, টিস্যু পেপারের জন্য সংঘর্ষে লিপ্ত হওয়া, আগ্নেয়াস্ত্র কেনার হিড়িক পড়ে যাওয়া ইত্যাদি ঘটনা পশ্চিমাদের বস্তুবাদী পাশবিক আচরণের প্রমাণ বহন করে। বাহ্যিক সুন্দর আবরণের মধ্যে তারা তাদের পাশবিক রূপটি লুকিয়ে রাখে এবং চলমান মহামারীর মতো বিপদের দিনে তা প্রকাশ পেয়ে যায়।

ভাষণের অন্য অংশে তিনি বলেন, এ বছর আসন্ন রমজান মাসে আমরা সম্মিলিত ইবাদতগুলো থেকে বঞ্চিত হতে যাচ্ছি ঠিকই কিন্তু একইসঙ্গে একাকী মহান আল্লাহর সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনেরও সুবর্ণ সুযোগ পেতে যাচ্ছি। কাজেই এ বিষয়ে উদাসিন থাকা উচিত হবে না।

পবিত্র মাহে রমজানকে সংযম ও আত্মত্যাগের মাস হিসেবে উল্লেখ করে সর্বোচ্চ নেতা বলেন, যথাসম্ভব বেশি নফল ইবাদতের পাশাপাশি সাধ্যমতো দরিদ্র ব্যক্তিদের সাহায্য-সহযোগিতা করতে হবে। এ বছর করোনাভাইরাসের কারণে মানুষের আর্থিক সামর্থ্য অতীতের যেকোনো সময়ের তুলনায় কমে গেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, গরীব আত্মীয়-স্বজন ও প্রতিবেশীকে দান করার মতো নফল ইবাদত আর হতে পারে না।

আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী তার ভাষণের অন্য অংশে বলেন, বর্তমানে গোটা বিশ্ববাসী অতীতের যেকোনো সময়ের তুলনায় প্রতিশ্রুত ইমাম মাহদি (আ.)'র আবির্ভাবের প্রয়োজন অনুভব করছে। ইরানি জনগণ তাদের গোটা অস্তিত্ব দিয়ে এই মহান ইমামের আগমনের অপেক্ষায় রয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। iqna

 

captcha