সৌদি জোট ৮ম এপ্রিল ইয়েমেনে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছিল। জোটের পক্ষ থেকে সে সময়ে বলা হয়, পাঁচ বছরের এ যুদ্ধ বন্ধে জাতিসংঘ তৎপরতার প্রতি সমর্থন জানিয়ে এ পদক্ষেপ নেয়া হলো।
জোট মুখপাত্র কর্নেল তুর্কি আল-মালকি দাবি করেন, ইয়েমেনে সম্ভাব্য করোনা প্রকোপ ঠেকানোর জন্য এ পদক্ষেপ নেয়া হয়। অবশ্য, এখন ইয়েমেনে করোনা দেখা দেয়ার কোনও খবর পাওয়া যায় নি। আজ(বৃহস্পতিবার) স্থানীয় সময় দুপুর থেকে দু’ সপ্তাহের জন্য এ যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে এবং পরে তা বাড়ান হতে পারে বলেও জানান তিনি।
কিন্তু, এ ঘোষণার পরপরই, জোটের যুদ্ধবিমানগুলি সা'দা, আমরান এবং আল-বায়দাসহ ইয়েমেনের বেশ কয়েকটি এলাকার ওপর হামলা চালায় বলে জানিয়েছে আল-মাসিরাহ টিভি।
অবশ্য বিমান হামলার আগেই ইয়েমেনের জনপ্রিয় হুথি আনসারুল্লাহ আন্দোলন সৌদি যুদ্ধবিরতির ঘোষণাকে মোটেও গুরুত্ব দেয় নি। আনসারুল্লাহ বলে, ইয়েমেনে আগ্রাসন চালাতে দিয়ে গভীর চোরাবালিতে আটকা পড়েছে সৌদি জোট। এ চোরাবালি থেকে সম্মান বাঁচিয়ে সরে আসার রিয়াদের প্রাণপণ চেষ্টারই অংশ এ যুদ্ধবিরতি।
আল-মায়াদিন টিভিকে আনসারুল্লাহ আন্দোলনের রাজনৈতিক ব্যুরোর প্রবীণ সদস্য মোহাম্মদ আল-বুখাইতি বলেন, যুদ্ধবিরতি আগ্রাসী এ জোটের একটি ধূর্ত পদক্ষেপ মাত্র।
কোভিড-১৯’এর প্রকোপকে অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করে সম্মান নিয়ে ইয়েমেন থেকে সরে আসতে চাইছে সৌদি জোট। তবে ইয়েমেনের বিরুদ্ধে অবরোধ বজায় রেখে এ যুদ্ধের সমাপ্তি টানা যাবে না বলেও জানান তিনি। তিনি আরও বলেন, ইয়েমেনের অবরোধ প্রত্যাহার না করা হলে যে কোনও যুদ্ধবিরতি কেবল মাত্র সৌদি যুদ্ধের ধারাবাহিকতা হিসেবে গণ্য হবে। iqna