IQNA

মিশরের প্রাক্তন মুফতি;

মিশরের ক্বারিদের চারটি স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য

16:31 - May 05, 2020
সংবাদ: 2610725
তেহরান (ইকনা)- মিশরের প্রাক্তন মুফতি বলেছেন: কুরআন তিলাওয়াত করা মিশরীয়দের ঐতিহ্যের অবিচ্ছেদ্য এক অঙ্গ। এদেশের ক্বারিদের চারটি স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য রয়েছে।

মিশরের প্রাক্তন মুফতি এবং আল-আজহারের ওলামা প্রতিনিধি দলের সদস্য আলী জুমা নিজ দেশের জনগণের মধ্যে কুরআন তিলাওয়াতের স্থান সম্পর্কে বলেন: বিশেষ করে পবিত্র রমজান মাসে কুরআন পড়া মিশরীয়দের অন্যতম জনপ্রিয় অভ্যাস।

তিনি এক বিবৃতিতে কুরআন তিলাওয়াত করা মিশরীয়দের ঐতিহ্যের অবিচ্ছেদ্য এক অঙ্গ হিসেবে উল্লেখ করে বলেন: অতীতে বলা হত যে, “কুরআন মক্কায় নাযিল হয়েছে, ইস্তাম্বুলে মুদ্রিত হয়েছে এবং মিশরে তিলাওয়াত করা হয়েছে”। এথেকে স্পষ্ট যে, মিশরের মাকতাবুল কুরআনসমূহে অনন্য ছাত্রদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে এবং তাদের চারটি স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য রয়েছে।

মুফতি আলী জুমা বলেন: এই চারটি স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, সুললিত কণ্ঠস্বর, সঠিক পন্থায় শব্দ উচ্চারণের ক্ষমতা, কুরআন হেফজ করা এবং ইদগাম, ইজহার, তানভিন, মাদ্ এবং তিলাওয়াত সম্পর্কিত অন্যান্য আহকাম সঠিক ও যত্ন সহকারে অধ্যয়ন করা। এজন্য বলা যেতে পারে যে, বিশ্বের সেরা ক্বারিদের মধ্যে মিশরের ক্বারিগণ অন্যতম।

এ পর্যন্ত মিশরের ক্বারিদের নিয়ে বিভিন্ন বই রচিত হয়েছে। এই ব্যাপারে তিনি ইঙ্গিত করে বলেন: মিশরের মাকতাবুল ক্বারায়াতুল কুরআনে বিশিষ্ট ক্বারিগণ রয়েছে, যাদের খ্যাতি সময় ও স্থান ছাড়িয়ে গিয়েছে। বিশেষ করে “মাহমুদ আলী আল বানা”। তিনি ১৯২৬ সালের ১৭ই ডিসেম্বরে মিশরের আল-মানুফিয়া প্রদেশের শাবরা বায়েছ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেছেন এবং শাইখ মুসা আল-মানতাশের নিকটে কুরআন হেফজ (মুখস্থ) করেছেন।

মিশরের এই বিশিষ্ট ক্বারির সম্পর্কে মুফতি আলী জুমা আরো বলেন: শাইখ আল-বানা ১১ বছর বয়সে সম্পূর্ণ কুরআন হেফজ করেছেন। অতঃপর ধর্মীয় পড়াশোনা করতে তানতা শহরে যান। সেখানকার শিক্ষকদের নিকট বিভিন্ন পন্থায় কুরআন তিলাওয়াত এবং তিলাওয়াতের সুর সম্পর্কে শিক্ষা অর্জন করেন। কুরআন তেলাওয়াত করার জন্য ইউরোপীয় দেশ সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে তিনি ভ্রমণ করেন। এরফলে তিনি “কুরআনের রাষ্ট্রদূত” হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেন। ১৯৪৭ সালে তিনি মুসলিম যুব জামিয়াতের ক্বারি হন এবং এই জামিয়াতের পক্ষ থেকে অনুষ্ঠিত সকল কুরআন মাহফিলে অংশগ্রহণ করেন। ১৯৪৮ সালে, তিনি মিশরের কুরআনিক রেডিওতে যোগদান করেন এবং কুরআনিক রেডিওতে তিনি দীর্ঘদিন কুরআন তিলাওয়াত করেন। অবশেষে তিনি ১৯৮৫ সালে ইন্তেকাল করেন এবং এই মরহুমকে তার নিজ গ্রাম শাবরা বায়েছের মসজিদে দাফন করা হয়। iqna

মিশরের ক্বারিদের চারটি স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য

captcha