জাতিসংঘ ইয়েমেনে এমন এক সময়ে এ ধরনের ত্রাণ বন্ধের সিদ্ধান্ত নিল, যখন দেশটিতে লাখ লাখ মানুষ খাদ্যভাবে দুর্ভিক্ষের মধ্যে আছে এবং শিশুরা অপুষ্টির শিকার হয়ে পড়েছে। সউদি আরবের নেতৃত্বে আরব জোটের চাপিয়ে দেয়া যুদ্ধে ইয়েমেনের এডেনসহ বন্দরগুলো বন্ধ থাকায় বাইরে থেকে কোনো খাদ্য ও ওষুধ সহায়তা আসতে পারছে না। এবং জাতিসংঘের ত্রাণ তাদের একমাত্র ভরসা হলেও তা বন্ধ করে দেয়া হলো। অথচ আরব দেশগুলো যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিপুল পরিমান অস্ত্র কিনছে ও ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করেছে।
ইয়েমেনে জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা কর্মসূচির সমন্বয়কারী লিজি গ্রান্ডি বলেন, সহায়তা না পেলে দেশটির মানুষগুলোকে বাঁচানো যাবে না। চোখের সামনে না খেয়ে, বিনা চিকিৎসায় এভাবে মানুষের মারা যাওয়ার বিষয়টি আমাদের জন্যে খুবই বেদনাদায়ক ও হৃদয়বিদারক।
জাতিসংঘ বলছে, গত ফেব্রুয়ারিতে ইয়েমেনে মানবেতর অবস্থায় আটকে পড়া কুড়ি মিলিয়ন নরনারীর জীবনরক্ষাকারী ওষুধ ও খাদ্য সহায়তার জন্যে সদস্য দেশগুলো ২.৬ বিলিয়ন ডলার দিতে চাইলেও অর্ধেকের কম সহায়তা পাওয়া গেছে। জাতিসংঘ জানায় ইয়েমেনে ৩৪টি মানবিক সহায়তা কর্মসূচির মধ্যে মাত্র তিনটি চলছে। তহবিল না পাওয়া গেলে ২২টি কর্মসূচি আগামী দুই মাসে পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাবে।
সূত্র: মিডিল ইস্ট মনিটর/ dailyinqilab