১৪ বছরের দৃষ্টি প্রতিবন্ধী “আবদুল্লাহ আম্মার” আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকগণের নিকটে পবিত্র কুরআন হেফজ করেছেন। অন্ধত্ব তার এই ঐশী গ্রন্থ হেফজ করার পথে বাধা হতে পারেনি। তার সমবয়সীদের মধ্যে তিনি ছিলেন অনেক পারদর্শী। অন্ধত্বকে তিনি অন্তর্দৃষ্টির আশীর্বাদ হিসেবে পরিণত করেছেন। বর্তমানে আবদুল্লাহ আম্মার সকলের নিকটে প্রিয় ও সম্মানিত।
দৃষ্টি প্রতিবন্ধী এই প্রতিভাবান কিশোর সম্পূর্ণ কুরআন হেফজের পাশাপাশি অর্থ সহকারে অনেক হাদিস হেফজ করেছেন। এরফলে আবদুল্লাহ আম্মার যে গ্রামে বাস করেন, সেখানকার সকলে তাকে ভালবাসে ও শ্রদ্ধার চোখে দেখে।
আবদুল্লাহ আম্মারের অন্ধত্ব তাকে কবিতা এবং সাহিত্য গ্রন্থ পড়া থেকে বিরত রাখতে পারেনি। এপর্যন্ত তিনি আহমেদ শাওকী, নাজিব মাহফুজ এবং আল-উকাদের লেখা অনেক সাহিত্য ও কবিতা অধ্যয়ন করেছেন। এছাড়াও ঐতিহাসিক বই পড়ার প্রতি তার অনেক আগ্রহ রয়েছে।
তিনি মিশরের সাবেক প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসির কাছ থেকেও পুরষ্কার গ্রহণ করেছেন। সাবেক প্রেসিডেন্ট তাকে তিলাওয়াতের দশ পন্থায় তাকে পবিত্র কুরআন মুখস্থ করার পরামর্শ দিয়েছিলেন।
আবদুল্লাহ আম্মার একজন ধর্মীয় আলেম হওয়ার আশা প্রকাশ করেছেন। এর মাধ্যমে তিনি তার সম্প্রদায়ের লোকদের ইসলামের সঠিক ধারণাসমূহ প্রদান করে তাদের সহায়তা করার ইচ্ছা পোষণ করেন।তার জ্ঞান বিশ্ব স্তরে পৌঁছে দিতে চান, যাতেকারে বিশ্ব জুড়ে ইসলাম ধর্মের প্রচার হয় এবং এই ধর্ম সম্পর্কে ভ্রান্তি ধারণাসমূহ দূর হয়ে সঠিক ইসলাম ধর্ম বিশ্বের বুকে কায়েম হয়। iqna