IQNA

বিপ্লবের সর্বোচ্চ নেতার বক্তব্যে কুরআনের উদ্ধৃতি;

“শাহাদাত, প্রতিরোধ এবং বাশারাত”-এর আয়াত

20:38 - September 27, 2020
সংবাদ: 2611544
তেহরান (ইকনা): পবিত্র প্রতিরক্ষার চল্লিশতম বার্ষিকীর সূচনালগ্নে ইসলাম বিপ্লবের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনেয়ী মূল্যবান বক্তব্য পেশ করেন। তার এই বক্তব্যের দিকে দৃষ্টিপাত করলে দেখা যায় যে, পবিত্র কুরআনের তিনটি আয়াতের কথা তিনি উল্লেখ করেছেন; যাতে শাহাদাত, প্রতিরোধ এবং বাশারাতের (সুসংবাদ) কথা বলা হয়েছে।

হযরত আয়াতুল্লাহ খামেনেয়ী তার বক্তব্য ইসলামি বিপ্লবের সাফল্যের কথা ব্যক্ত করেছেন।
এই বিস্তৃত ভাষণে তিনি শাহাদাতের অক্ষকে ঘিরে পবিত্র কুরআনের তিনটি আয়াত ব্যক্ত করেছেন। সূরা আহযাবের ২৩ নম্বর আয়াত, সূরা আল ইমরানের ১৭ নম্বর আয়াত এবং সূরা আল-ফুসসিলাতের ৩০ নম্বর আয়াত।
সূরা আহযাবের ২৩ নম্বর আয়াত:


مِنَ الْمُؤْمِنِينَ رِجَالٌ صَدَقُوا مَا عَاهَدُوا اللَّهَ عَلَيْهِ فَمِنْهُمْ مَنْ قَضَىٰ نَحْبَهُ وَمِنْهُمْ مَنْ يَنْتَظِرُ وَمَا بَدَّلُوا تَبْدِيلًا

) বিশ্বাসীদের মধ্যে কতক এমন পুরুষও আছে যারা আল্লাহর সাথে কৃত প্রতিজ্ঞা পূর্ণ করেছে, এবং তাদের মধ্যে কতক (শাহাদাতবরণ করে) তাদের প্রতিশ্রুতিকে পূর্ণ করেছে এবং তাদের মধ্যে এমন কতক আছে যারা প্রতীক্ষায় রয়েছে; এবং তারা (তাদের অঙ্গীকার) পরিবর্তন করেনি।

সূরা আল ইমরানের ১৭০ নম্বর আয়াত:


فَرِحِينَ بِمَا آتَاهُمُ اللَّهُ مِنْ فَضْلِهِ وَيَسْتَبْشِرُونَ بِالَّذِينَ لَمْ يَلْحَقُوا بِهِمْ مِنْ خَلْفِهِمْ أَلَّا خَوْفٌ عَلَيْهِمْ وَلَا هُمْ يَحْزَنُون

এবং আল্লাহ তাঁর অনুগ্রহ থেকে যা তাদের দিয়েছেন তাতে তারা আনন্দিত এবং যারা তাদের পশ্চাতে রয়ে গেছে, আর এখনও তাদের সাথে মিলিত হয়নি, তাদের সম্বন্ধে এ সুসংবাদ রাখে যে, তাদের না কোন ভীতি থাকবে, আর না তারা দুঃখিত হবে।

সূরা আল-ফুসসিলাতের ৩০ নম্বর আয়াত:


إِنَّ الَّذِينَ قَالُوا رَبُّنَا اللَّهُ ثُمَّ اسْتَقَامُوا تَتَنَزَّلُ عَلَيْهِمُ الْمَلَائِكَةُ أَلَّا تَخَافُوا وَلَا تَحْزَنُوا وَأَبْشِرُوا بِالْجَنَّةِ الَّتِي كُنْتُمْ تُوعَدُونَ


নিশ্চয় যারা বলে, আমাদের পালনকর্তা আল্লাহ, অতঃপর তাতেই অবিচল থাকে, তাদের কাছে ফেরেশতা অবতীর্ণ হয় এবং বলে, তোমরা ভয় করো না, চিন্তা করো না এবং তোমাদের প্রতিশ্রুত জান্নাতের সুসংবাদ শোন।

এই তিনটি আয়াত সাধারণ বিষয় হল, মহান আল্লাহর পথে যুদ্ধ করা, শাহাদাত বরণ করা এবং আল্লাহর পক্ষ থেকে শহীদদের নিকটে সংবাদমূলক বার্তা।

উল্লেখিত আয়াতগুলি থেকে নিম্নলিখিত বিষয়গুলি এবং বার্তাগুলি উল্লেখ করা যেতে পারে:

  • সত্যকে রক্ষ করতে যদি শাহাদাত বরণ করতে হয় তাহলে তাতেও কোন অসুবিধা নেই। এটি ইমানের আন্তরিকতার লক্ষণ।
  • শাহাদাতের জন্য অপেক্ষা করাও অনেক মূল্যবান।
  • মহান আল্লাহর সাথে প্রকৃত মু’মিনগণের যে চুক্তি রয়েছে তার প্রতি তারা অটুট থাকেন। কোন কিছুই (এমনকি বন্ধু ও আত্মীয়দের শাহাদাত) তাদেরকে পরিবর্তন করতে পারে না।
  • নিজের কর্মের জন্য নয় বরং মহান আল্লাহর অনুগ্রহের জন্য শাহাদাত বরণ করা।
  • শহীদগণ তাদের সহযোদ্ধাদের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন না এবং তাদের একটি ভাল ভবিষ্যতের সুসংবাদ দেওয়া হয়।
  • শহীদের সম্মিলিত জীবন আছে, একে অপরের সাথে যোগ দেয় এবং অন্যের জন্য অপেক্ষা করে।
  • শহীদদের সাফল্য চিরস্থায়ী এবং তারা কখনই কোন নেয়ামতের ক্ষতিতে দুঃখ প্রকাশ করে না।
  • ঈমানের সাথে সহনশীলতার অনেক মূল্য রয়েছে, অন্যথায় কাফেররাও তাদের মিথ্যাবাদকে অটুট রাখতে সহনশীলতা প্রকাশ করে।
  • মানুষ বিশ্বাস এবং প্রতিরোধের মাধ্যমে ফেরেশতাদের আকর্ষণ করে।
  • সত্যের পথে প্রতিরোধ করা হলে ভবিষ্যতের ভয় এবং অতীতের দুঃখ উভয়ই সরিয়ে দেয়।

iqna

captcha