IQNA

হিন্দুদের ভারতের ৮ রাজ্যে ‘সংখ্যালঘু’ মর্যাদা দেয়া হচ্ছে

17:17 - October 22, 2020
সংবাদ: 2611678
তেহরান (ইনকা): ভারতের ৮টি রাজ্যে হিন্দুদের মর্যাদা দেওয়ার কথা বিবেচনা করা হচ্ছে । দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার এ ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করছে বলে ভারতীয় বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে পার্সটুডে। জানা গেছে লাক্ষাদ্বীপ, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড, মেঘালয়, জম্মু ও কাশ্মীর, অরুণাচল প্রদেশ, মণিপুর এবং পাঞ্জাবে হিন্দুরা সংখ্যালঘু মর্যাদা পেতে পারেন।

১৯৯২ সালে অযোধ্যাকাণ্ডের পরে মুসলিম সম্প্রদায়কে খুশি করার উদ্দেশ্যে কেন্দ্রীয় সরকার কর্তৃক জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন গঠন করা হয়েছিল। ১৯৯৩ সালে প্রকাশিত সরকারি গেজেটে পাঁচটি ধর্মীয় সম্প্রদায়- মুসলিম, খ্রিস্টান, শিখ, বৌদ্ধ এবং পার্সীদের সংখ্যালঘু সম্প্রদায় হিসেবে বিজ্ঞাপিত করা হয়েছিল। এ সংক্রান্ত ২(গ) ধারায় বলা হয় যে, কেন্দ্রীয় সরকার যাদের সংখ্যালঘু হিসেবে বিবেচিত করবে তারাই সংখ্যালঘু হবে।

২০১১ সালের আদমশুমারি অনুসারে আটটি রাজ্যে হিন্দুরা সংখ্যালঘু। এগুলো হলো- লাক্ষাদ্বীপ ২.৫ শতাংশ, মিজোরাম ২.৭৫ শতাংশ, নাগাল্যান্ড ৮.৭৫ শতাংশ, মেঘালয় ১১.৫৩ শতাংশ, জম্মু ও কাশ্মীর ২৮.৪৪ শতাংশ, অরুণাচল প্রদেশ ২৯ শতাংশ, মণিপুর ৩১.৩৯ শতাংশ এবং পাঞ্জাবে ৩৮.৪০ শতাংশ।

কেন্দ্রীয় সরকার এবার এই লক্ষ্যে চিন্তাভাবনা শুরু করেছে যে, সংখ্যালঘু বিবেচনার প্রক্রিয়াটি আদমশুমারি অনুযায়ী করা উচিত। এর ফলে ওই আটটি রাজ্যে হিন্দুরা ‘সংখ্যালঘু’ মর্যাদা পেতে পারেন। এমনটি হলে জম্মু ও কাশ্মীরের মুসলিমরা এবং পাঞ্জাবের শিখরা সংখ্যালঘু হওয়ার মর্যাদা হারাতে পারেন।

উল্লিখিত ওই ৮ রাজ্যে হিন্দুদের সংখ্যালঘু মর্যাদা দেওয়ার দাবি অবশ্য অনেক দিন ধরেই জানানো হচ্ছে ভারতের হিন্দুত্ববাদী মহল থেকে। ২০১৭ সালের অক্টোবরে সুপ্রিম কোর্টে এ সংক্রান্ত এক আবেদন জানিয়েছিলেন বিজেপি নেতা অশ্বিনী উপাধ্যায়। তার দাবি, ওই সব রাজ্যে হিন্দুদের সংখ্যালঘুদের মর্যাদা দেওয়া উচিত এবং সংখ্যালঘুদের দেওয়া অধিকারও তাদের পাওয়া উচিত। তিনি ১৯৯৩ সালে জারি করা কেন্দ্রীয় সরকারের প্রজ্ঞাপনকেও সম্পূর্ণ অসাংবিধানিক ঘোষণা করার দাবি জানান। একই সঙ্গে, সুপ্রিম কোর্টের কাছে আবেদন তিনি ওই রাজ্যগুলোতে হিন্দুদের সংখ্যালঘু হিসেবে ঘোষণার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে নির্দেশ দেওয়ার আবেদন জানিয়েছিলেন।

২০১৭ সালের নভেম্বরে সুপ্রিম কোর্ট অবশ্য হিন্দুদের সংখ্যালঘু মর্যাদা চেয়ে আবেদনের শুনানি করতে অস্বীকার করেছিল। আদালত আবেদনকারীকে ওই বিষয়ে সংখ্যালঘুদের জন্য জাতীয় কমিশনের কাছে যেতে বলেন। এরপরে আবেদনকারী তার আবেদন প্রত্যাহার করে নেন।
সূত্র:somoynews

captcha