গতকাল (শনিবার) এক টুইটার পোস্টে আফগান গোয়েন্দা বাহিনী নিশ্চিত করেছে যে, স্পেশাল ফোর্সের সাম্প্রতিক এক অভিযানে আবু মুহসনি আল-মাসরি নিহত হয়েছে।
আফগানিস্তানের ন্যাশনাল ডাইরেক্টরেট অব সিকিউরিটি বা এনডিএস জানিয়েছে, আল-কায়েদার এ নেতা ভারতীয় উপমহাদেশে দ্বিতীয় শীর্ষ কমান্ডার ছিলো। তবে এনডিএস বিস্তারিত আর কিছু বলে নি।
২০১৮ সাল থেকে মার্কিন বিচার মন্ত্রণালয়ের তালিকায় মুহসিন আল-মাসরি মোস্ট ওয়ান্টেড ব্যক্তি হিসেবে ছিল।
আফগানিস্তানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান "মাসউদ আন্দারাবি বলেছেন: গজনি প্রদেশে আল-কায়েদার সদস্যের হত্যাকাণ্ড থেকে বোঝা যায় যে, তালেবানরা এখনও এই গোষ্ঠীর সাথে জড়িত রয়েছে। তালেবান দাবি যে আল-কায়েদার সাথে তারা সকল সম্পর্ক ছিন্ন করেছে, তা সত্য নয়।
এদিকে, মার্কিন জাতীয় কাউন্টার টেরোরিজম সেন্টারের পরিচালক ক্রিস মিলার আল-কায়েদার সিনিয়র সদস্য আবু মোহসেন আল-মাসরি হত্যার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছে: “আবু মুহসনি আল-মাসরি মৃত্যুর কারণে আল-কায়েদার কার্যক্ষমতা কমে আসবে”।
আমেরিকা, আল-মাসরির বিরুদ্ধে বিদেশী সন্ত্রাসী সংগঠনকে পৃষ্ঠপোষকতা এবং শারীরিক সম্পদ সরবরাহ এবং আমেরিকান নাগরিকদের হত্যার চেষ্টা করার অভিযোগ করেছে।
অথচ মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও গত মাসে ঘোষণা করেছিল যে, আফগানিস্তানে আল-কায়েদার ২০০ কম সদস্য রয়েছে।
অক্টোবরে আফগানিস্তানে মার্কিন আগ্রাসনের ১৯তম বার্ষিকী এবং আল-কায়েদার আশ্রয় নেওয়া তালেবানদের উত্থাপনের কথা বলা হয়েছিল।
আমেরিকা সাম্প্রতিক তালিবানের সাথে একটি চুক্তি করেছে। এই চুক্তিতে আফগানিস্তানে তাদের সেনা সংখ্যা হ্রাস করা কথা উল্লেখ রয়েছে।
চুক্তির আওতায় বিদেশের সেনা ২০২১ সালের মে মাসে আফগানিস্তান ছেড়ে যাওয়ার কথা রয়েছে এবং তালেবানরা আফগানিস্তানের সুরক্ষা প্রদান করার গ্যারান্টি দিয়েছে। iqna