কৃত্রিম উপদ্বীপে নির্মিত এই যাদুঘরটি ২০০৮ সালে উদ্বোধন করা হয়েছে। অনন্য শিল্পকর্মের জন্য পর্যটকগণ এই মিউজিয়ামের প্রতি বেশ আকর্ষিত হয়েছে।
দোহার ইসলামিক আর্টের যাদুঘরটি হস্তলিখিত পাণ্ডুলিপি, মূল্যবান কাপড় ও পাথর, প্রাচীন পুরানো স্বর্ণ, রৌপ্য এবং ব্রোঞ্জের মুদ্রার মতো ইসলামিক প্রত্নতত্ত্বের উপস্থিতির কারণে বৃহত্তম ইসলামী যাদুঘর হিসাবেও পরিচিত। এসকল মূল্যবান শিল্পের মধ্যে প্রাক-ইসলামিক এবং সাসানীদ যুগের অন্তর্গত বেশ কিছু শিল্প এখানে সংরক্ষিত আছে।
৫ তলা বিশিষ্ট এই যাদুঘরে ৫৪০০টি মূল্যবান ইসলামিক শিল্প সংরক্ষিত আছে। যাদুঘরের আয়তন ৩৮২ হাজার বর্গমিটার এবং শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে বিভিন্ন দেশে মুসলমানদের দ্বারা তৈরি বিরল কাজগুলোর অস্তিত্ব এবং বিল্ডিংয়ের সুন্দর ডিজাইনের কারণে এই জাদুঘরটি অত্যন্ত প্রসিদ্ধ হয়ে উঠেছে।
এই যাদুঘরে বেশ কয়েকটি বিভাগ আছে। বিশেষ করে এক্সিবিশন হল, আরবি ও ইংরেজিভাষীদের গবেষণা সেন্টার এবং বিশেষিত গ্রন্থাগার আছে।
ভবনেরে মূল অংশ হল যাদুঘর এবং এখানে বিশ্বরে বিভিন্ন দেশরে মুসলিম শিল্পীদের তৈরি সিরামিক, টাইলস, গহনা, হস্তশিল্প, কাঠের কাজ, কাচের সরঞ্জাম, কার্পেট এবং অন্যান্য শিল্পকর্মের দুর্দান্ত সংগ্রহ সংরক্ষিত আছে। iqna