আজ রোববার জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তরের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
রয়টার্স জানায়, অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সেনাবাহিনীর ক্ষমতা দখলের পর দেশব্যাপী চলমান বিক্ষোভে আজ ছিল সবচেয়ে রক্তাক্ত দিন।
আজ পুলিশ দেশটির বৃহত্তম শহর ইয়াঙ্গুনের বিভিন্ন এলাকায় গুলি চালায়। তবে পুলিশের স্টান গ্রেনেড, কাঁদানে গ্যাস এবং গুলি বিক্ষুব্ধ জনতাকে ভাঙতে ব্যর্থ হয়। সেসময় সেনাদের পুলিশকে উৎসাহ দিতে দেখা গেছে বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।
সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত ছবিতে দেখা গেছে, বিক্ষোভকারীরা কয়েকজন আহত ব্যক্তিকে সরিয়ে নিয়ে গেলে ফুটপাথে রক্তের দাগ পড়ে যায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন চিকিৎসক রয়টার্সকে জানান, গুলিবিদ্ধ একজনকে হাসপাতালে নেওয়ার পর মারা যান।
এ ছাড়াও, মিয়ানমারের প্রধান শহর ইয়াঙ্গুনে পুলিশ স্টান গ্রেনেড ছুড়ে শিক্ষকদের বিক্ষোভ ছত্রভঙ্গ করে দিলে সন্দেহজনক হার্ট অ্যাটাকে এক নারী মারা গেছেন। তার মেয়ে ও এক সহকর্মী রয়টার্সকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গত ১ ফেব্রুয়ারি সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে মিয়ানমারে টানা বিক্ষোভ চলছে। এখন পর্যন্ত অং সান সু চিসহ নির্বাচিত সরকারের প্রতিনিধিদের আটক করে রেখেছে সামরিক জান্তা। আটককৃতদের বিষয়ে খুব কম তথ্যই জানা যাচ্ছে।
বৌদ্ধ সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশটির প্রথম ক্যাথলিক কার্ডিনাল চার্লস মং বো টুইটারে বলেছেন, ‘মিয়ানমারের অবস্থা যুদ্ধক্ষেত্রের মতো’।
সংবাদমাধ্যমের ছবিতে দেখা গেছে, রক্তাক্ত অবস্থায় বেশ কয়েকজন বিক্ষোভকারীকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছেন সহকর্মীরা। ডেইলি স্টার