IQNA

মিয়ানমারে বিক্ষোভকারীর সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে; রাজপথে আজ ছিল লাখো মানুষ

20:34 - March 07, 2021
সংবাদ: 2612419
তেহরান (ইকনা): মিয়ানমারে ইয়াঙ্গুনসহ বিভিন্ন শহরে প্রতিদিন জান্তাবিরোধী বিক্ষোভ চলছে। বিক্ষোভকারীদের ওপর ব্যাপক দমন-পীড়নও চালাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। গতকাল শনিবার গভীর রাতে বিক্ষোভের প্রধান কেন্দ্র ইয়াঙ্গুনে এনএলডির নেতা-কর্মীদের বাড়ি বাড়ি তল্লাশি চালানো হয়। এরপরও আজ রোববার আবার রাজপথে নেমেছেন হাজার হাজার মানুষ। খবর রয়টার্সের।
গত ১ ফেব্রুয়ারি বেসামরিক সরকারকে উৎখাত করে অং সান সু চিসহ তাঁর দলের শীর্ষস্থানীয় নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করার পর থেকে মিয়ানমারে অস্থিরতা-বিশৃঙ্খলা বিরাজ করছে। এরই মধ্যে জান্তাবিরোধী বিক্ষোভে বিভিন্ন শহরে মারা গেছেন ৫৫ জন। নিয়মিতভাবে চলা বিক্ষোভ ও নিরাপত্তা বাহিনীর দমনাভিযানে প্রশাসনিক কার্যক্রম এবং ব্যবসা-বাণিজ্যেও নেমে এসেছে স্থবিরতা।
 
মিয়ানমারের স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, বৃহত্তম শহর ইয়াঙ্গুনে গতকাল বিক্ষোভ দমনে কাঁদানে গ্যাসের শেল ও স্টান গ্রেনেড ছুড়েছে পুলিশ। তবে হতাহত হওয়ার কোনো খবর পাওয়া যায়নি। আজ আবারও বিক্ষোভের প্রস্তুতি নিচ্ছেন আন্দোলনকারীরা।
 
বিক্ষোভের ডাক দেওয়া গোষ্ঠী দ্য জেনারেল স্ট্রাইক কমিটি অব ন্যাশনালিটিস বলেছে, ইয়াঙ্গুন, মান্দালয় ও মানেওয়া শহরে আজ বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হবে।
 
বাসিন্দারা জানান, বিক্ষোভকে সামনে রেখে আজ ভোররাতে ইয়াঙ্গুনের বিভিন্ন এলাকায় সেনা ও পুলিশ সদস্যরা বাড়ি বাড়ি তল্লাশি চালিয়েছেন। এ সময় গুলির ঘটনাও ঘটেছে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে অন্তত তিনজনকে। তবে তাঁদের গ্রেপ্তার করার কারণ জানা যায়নি। সেনারা এনএলডির পক্ষে কাজ করা একজন আইনজীবীর খোঁজও করেন। তবে তাঁকে ধরতে পারেননি।
 
গত ১ ফেব্রুয়ারি বেসামরিক সরকারকে উৎখাত করে অং সান সু চিসহ তাঁর দলের শীর্ষস্থানীয় নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করার পর থেকে মিয়ানমারে অস্থিরতা-বিশৃঙ্খলা বিরাজ করছে। এরই মধ্যে জান্তাবিরোধী বিক্ষোভে বিভিন্ন শহরে মারা গেছেন ৫৫ জন। নিয়মিতভাবে চলা বিক্ষোভ ও নিরাপত্তা বাহিনীর দমনাভিযানে প্রশাসনিক কার্যক্রম এবং ব্যবসা-বাণিজ্যেও নেমে এসেছে স্থবিরতা।
 
চলমান ধরপাকড়ে গতকাল পর্যন্ত ১ হাজার ৭০০ জনের বেশি লোককে আটক বা গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পরামর্শক গ্রুপ অ্যাসিস্ট্যান্স অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিক্যাল প্রিজনার্স। তবে গত রাতে কতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, সে সম্পর্কে তারা কিছু জানায়নি। তবে এক বিবৃতিতে তারা বলেছে, গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিদের ঘুষি মেরে, বুটের লাথি দিয়ে, পিটিয়ে ও টেনেহিঁচড়ে পুলিশ ও সেনাসদস্যরা নিয়ে যান। এ ছাড়া তাঁরা অনেক বাড়িতে গুলি চালান এবং তছনছ করেন।
captcha